দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে এত টাকা একবারে আসবে কোথা থেকে সেই নিয়েই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছিল। তবে এবার হয়ত সত্যিই নীলাঞ্জনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ভাগচাষি পরিবার দ্বারস্থ হয় সুকান্ত মজুমদারের। এরপরেই সুকান্ত মজুমদার নিজেই রুড়কি আইআইটির সঙ্গে তাঁর মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে ভর্তির ব্যবস্থা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মশা কোন ‘রং’ দেখলে বেশি ‘আকৃষ্ট’ হয় জানেন…? ‘উত্তর’ বলে দিলেন বিশেষজ্ঞ!
সূত্রের খবর, টিনের ছাউনি দেওয়া মাটির একটিমাত্র ঘরে বসবাস। ছোট থেকেই মেধাবী নীলাঞ্জন। এলাকায় ‘ফার্স্ট বয়’ হিসেবেই পরিচিত। দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে একমাত্র সন্তান নীলাঞ্জন। মালঞ্চা জেড এম আর এম হাই স্কুলে মাধ্যমিক, ৯০ শতাংশ নম্বর নিয়ে বালুরঘাট হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এরপর দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে জিয়োলজি নিয়ে স্নাতকও হয়েছেন নীলাঞ্জন। এরপরে তাঁর লক্ষ্য ছিল আইআইটি। স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘জ্যাম’ দিয়ে মার্চ মাসে পরীক্ষার ফল বেরোতেই দেখা যায়, লক্ষ্যভেদে সফল হয়েছেন নীলাঞ্জন।
এবিষয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানান, “তিনি আইআইটি রুরকি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন যাতে নীলাঞ্জনের ভর্তির বিষয়ে কোন আর্থিক প্রতিবন্ধকতা না থাকে। তারজন্য ইতিমধ্যেই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।”
এদিন সুকান্ত মজুমদার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নীলাঞ্জনের উচ্চশিক্ষা অর্জনে সর্বত্রভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। স্বয়ং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে খুশি নীলাঞ্জন এবং নীলাঞ্জনের পরিবার। নীলাঞ্জন সারা দেশের সামনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নাম গর্বের সঙ্গে তুলে ধরুক দাবি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর। মেধাবি ছাত্রের পাশে দাঁড়ানোয় খুশি জেলার শিক্ষামহল। এখন তাঁকে নিয়েই গর্বিত তাঁর বাবা মা থেকে এলাকাবাসীরা।
সুস্মিতা গোস্বামী