প্রথমপত্রের পরীক্ষা হবে সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত। দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হবে বেলা ১২ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত। সকাল ন'টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে রিপোর্ট করতে হবে। রাজ্যের সম্মতিতেই কলেজ সার্ভিস কমিশন এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করল। এ বছর সেট-এ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০ হাজারেরও বেশি।
advertisement
কলেজ সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, গত বছরের থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এ বছর অনেকটাই বেশি। যা রীতিমতো রেকর্ড। প্রসঙ্গত গতবছর অ্যাক্রিডিটেশন-এর জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশন ‘সেট’ নিতে পারিনি। সে ক্ষেত্রে দু'বছর পর পরীক্ষা নিলেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে বলেই মত শিক্ষা মহলের। অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ বছর ২০০টি-র কাছাকাছি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নিতে চলেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। প্রত্যেকবারই কলেজ সার্ভিস কমিশন ৮০টি-র কাছাকাছি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়। একদিকে করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া সবদিক মাথায় রেখেই এত সংখ্যক পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত কমিশনের। প্রত্যেকটি বেঞ্চে একজন করে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে যতসংখ্যক আসন তার অর্ধেক আসন নিয়ে এই পরীক্ষায় আসন দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।
মিশন সূত্রে খবর, পরীক্ষার্থীদের পছন্দ করে দেওয়ার জায়গা অনুযায়ী প্রত্যেকটি sub-division ধরে ধরে পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছে। যাতে বাড়ি থেকে পরীক্ষার্থীদের ন্যূনতম কম দূরত্ব যেতে হয় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
করোনার বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা দেশ। কোভিড সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ছে বাংলাতেও। এই পরিস্থিতিতে আগেভাগেই লাগাম শক্ত করে ধরতে চাইছে রাজ্য সরকার। বর্তমান কোভিড ও ওমিক্রনের কথা মাথায় রেখেই রবিবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করা হয়েছে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। যা লাগু হয়েছে সোমবার সকাল থেকেই। সোমবার থেকে রাজ্যে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ, খোলা যাবে না জিম, সেলুন, পার্ক, সুইমিংপুলও।
কিন্তু এ বছর নেট পরীক্ষার বাকি আর কয়েকদিন। তাই প্রায় ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী দুশ্চিন্তায় ছিলেন। অবশেষে তাঁদের চিন্তা কমছে। সময়সীমা পাল্টানো হলেও পরীক্ষা হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনেই।