মিড-ডে মিলের ফল কেনা নিয়ে বিবাদের জেরে মারামারি বাধল স্কুলের দুই শিক্ষকের। সোমবার কাটোয়ার চূড়পুনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অন্য এক শিক্ষকের বচসা বাধে। অভিযোগ, বচসা গড়ায় মারামারিতে পড়ুয়া, রাঁধুনিদের সামনেই বেধে যায় হাতাহাতি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রসেনজিৎ চন্দ্ৰ কাটোয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ তুলে শিক্ষক কৌশিক দের নামে থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: সিগারেট খাওয়ার অনুমোদন থাকলে, হুক্কাতে বাধা কোথায়? বিস্ফোরক বিচারপতি মান্থা!
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন স্কুল শুরু হওয়ার পরে মিড-ডে মিলের আপেল কেনা নিয়ে বচসা বাধে দুজনের। প্রসেনজিতের কেনা আপেলের গুনগত মান খারাপ দাবি করেন কৌশিক। পাল্টা প্রধান শিক্ষকের দাবি, দুদিন আগে এর থেকেও খারাপ আপেল কিনেছিলেন কৌশিক। কথা কাটাকাটির মধ্যে মঙ্গলবার স্কুলে রুবেলা ও হামের ভ্যাকসিন নিতে আসা পড়ুয়াদের মাংস ভাত খাওয়ানোর প্রসঙ্গ ওঠে। তা নিয়েও দুই শিক্ষক পরস্পর বিরোধী মত দেন। বচসার জেরে পড়ুয়া, রাঁধুনি, স্থানীয় কয়েকজনও জড়ো হয়ে যান। আচমকা তাঁদের মারামারি বেধে যায় বলে অভিযোগ।
মিড ডে মিলের খাবারের মান খতিয়ে দেখতে জেলা জুড়ে প্রশাসনিক পরিদর্শন চলছে। খাবারের মান পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। মিড ডে মিলের রান্না করা খাবার কেমন চলছে তা দেখতে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল ঠিক সেই মুহূর্তে মিড ডে মিলকে ঘিরে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি ঘটনা প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।এ ব্যাপারে প্রাথমিক প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে তারপরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।