তিনি সাংবাদিকদের সামনে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ঘোষণা করেন, বাচ্চারা লু সহ্য করতে পারছে না, বিভিন্ন এলাকা থেকে বাচ্চাদের অসুস্থ হওয়ার খবর আসছে। সেই কারণে আগামী ২ তারিখ থেকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হোক। এ বিষয়ে বেসরকারি স্কুলগুলিকেও অনুরোধ করার নির্দেশ দেন মমতা। যাতে এই তীব্র দাবদাহের পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
advertisement
রাজ্যে ক্রমে আরও অসহ্য হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। তীব্র তাপপ্রবাহ গ্রাস করে নিচ্ছে রাজ্যকে। বুধবারও তাপপ্রবাহের মরণ কামড় তীব্র ছিল রাজ্য জুড়ে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, রাজ্যে তাপপ্রবাহের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি ছিল ছ'টি জেলায়। এই জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রির উপরে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে স্কুল নিয়ে বড় নির্দেশ মোদির
রাজ্য আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৪.৭ ডিগ্রি বেশি, পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৬.৩ ডিগ্রি বেশি। পুরুলিয়া শহরে তাপমাত্রা ছিল ৪৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৫.৫ ডিগ্রি বেশি, হুগলি জেলার মগরা এলাকায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৭.৩ ডিগ্রি বেশি। ঝাড়গ্রাম জেলার সদর শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৪২.৫ ড়িগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। আর মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে দৈনিক তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫.৩ ডিগ্রি বেশি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়