তবে সামগ্রিক স্কুলছুটের পরিমাণ যা গত ২০১৮ সালে ছিল ৪.১% এবং ২০০৬ সালে ছিল ১০.৩% এর তুলনায় বর্তমানে এই পরিসংখ্যানের পতন নিশ্চয়ই সরকারের জন্যে একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব।
শেষ সমীক্ষাটি গ্রামীণ ভারতের ১৯০৬০ টি গ্রামের মোট ৩,৭৪,৫৪৪ টি পরিবার এবং ৩ থেকে ১৬ বছর বয়সি ৬,৯৯,৫৯৭ জন শিশুর মধ্যে করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে দীর্ঘ সময় মহামারীর জন্যে স্কুল বন্ধ থাকলেও ৯৮% শতাংশ ছাত্রীর স্কুলে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারি স্কুলে ছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান এবার প্রাথমিক স্কুলে, চমকে দিল নদিয়া!
এই রিপোর্ট অনুযায়ী ‘ছয় থেকে চোদ্দ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের তালিকাভুক্তির হার গত ১৫ বছর ধরে ৯৫ শতাংশের উপরে। ২০১৮ সালে তা বেড়ে ৯৭.২ শতাংশ হয় এবং মহামারী চলাকালীন স্কুল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এই পরিসংখ্যান বর্তমানে ২০২২ সালে ৯৪.৪ শতাংশে পৌঁছেছে।’ তবে এই রিপোর্টে আরো জানা যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের রিডিং পড়ার ক্ষমতা ২০১২ সালের আগের স্তরে পৌঁছেছে এবং প্রাথমিক অঙ্কের জ্ঞান ২০১৮ সালের স্তরে পৌঁছেছে।
এই রিপোর্টের মধ্যে দিয়ে বেশিরভাগ রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়ের সংখ্যা হ্রাস পেতে দেখা গেছে। যার ফলে কেরল, হিমাচল প্রদেশ এবং হরিয়ানার মতো রাজ্য গুলিতে রিডিং পড়ার ক্ষমতা সবথেকে বেশি হ্রাস পেয়েছে এবং অন্যদিকে তামিলনাড়ু, মিজোরাম এবং হরিয়ানায় ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে প্রাথমিক অঙ্কের দক্ষতায় পতন দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: উপ নির্বাচনের দিনেই মাধ্যমিকের ‘ইতিহাস’ পরীক্ষা, মাধ্যমিকের সূচি বদলের সম্ভাবনা
তবে এই রিপোর্টের মধ্যে সবথেকে চিন্তার বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড় ১০% এঁর বেশি ছাত্রীদের স্কুলছুট হওয়ার ঘটনা। সামগ্রিক স্কুলছুট হওয়ার হারের তুলনায় এই রাজ্যগুলিতে বিপুল ছাত্রীদের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকার ঘটনা রাজ্য সরকারগুলির কাছে অস্বস্তির কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।