তবে সেই প্রশ্নপত্র পাঠানো হলেও প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পিছু গোনা প্রশ্নপত্র থাকছে। অর্থাৎ পরীক্ষা কেন্দ্রে আলাদা করে কোনও প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার প্রয়োজনীয়তা থাকছে না। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র পরীক্ষার্থী নিজের প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন। আবার পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নপত্রের উত্তর করে উত্তরপত্র সমেত সিলবন্দি করে দেবেন।
আরও পড়ুন: টেট কে কেন্দ্র করে নজিরবিহীন পদক্ষেপ, কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে কী হচ্ছে? লাইভ কভারেজে ছবি আসবে পর্ষদে
advertisement
প্রাথমিকের টেটের প্রশ্নপত্র কে কেন্দ্র করে এতটাই কড়াকড়ি নিয়ম করতে চলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে প্রশ্নপত্র কীভাবে নিয়ে আসা হবে এবং কীভাবে নিয়ে যাওয়া হবে গোটা বিষয়টি নিয়েও আলাদা করে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে।
প্রশ্নপত্র নিয়ে আসা এবং প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া উভয় ক্ষেত্রেই পুলিশি নিরাপত্তা রাখা থাকবে বলেও ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে জেলাগুলিকে। রবিবার অর্থাৎ আজ প্রাথমিকের টেট কে কেন্দ্র করে আরও সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিশেষত ডি এল এড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়ার ঘটনার পর পরীক্ষা নিয়ে বিশেষ সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: Primary Tet Exam: ৬ জেলায় বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট, রবিবারের জন্য বড় সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র দফতরের!
টেট পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা এবং প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই পর্ষদের তরফে তার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি ও জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ ও বাহির পথে সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থা থাকবে পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক।
শুধু তাই নয় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করা প্রতিটি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের গলায় বৈধ পরিচয় পত্র ঝোলানো থাকতে হবে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের জন্য পর্ষদের তরফে একাধিক নিয়ম জারি করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মোবাইল এবং ধাতব ও কোন জিনিস নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একাধিক অভিযোগে জর্জরিত। বিশেষত টেটকে কেন্দ্র করেও একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। আর তাই এবারের টেটকে কেন্দ্র করে কোন বিতর্ক চাইছে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।মূলত তার জন্যই এত বিধি নিষেধ।
টেটের এডমিট কার্ড দেওয়া শুরু হয়েছে ৩০ নভেম্বর থেকে। ইতিমধ্যেই সেই অ্যাডমিট কার্ড নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়েছে। লাহোর, দুবাইতে পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে। যদিও সেগুলি ভুয়ো বলেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে। পর্ষদের পক্ষ থেকে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা করার জন্য আগেভাগেই একাধিক নির্দেশিকা দিয়ে গাইডলাইন বা নিয়মাবলী পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে পাঠাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।