অভিভাবকদের অভিযোগ, খোলা আকাশের নীচে একটি সেগুন ফরেস্টের ভেতরের ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হয়েছে চারিপাশে জঙ্গল ঝোপঝাড় আর সেখানেই সাপ পোকামাকড়ের উপদ্রব রয়েছে বলে তাদের দাবি। এমনকি যেকোনো সময় গাছের ডাল ভেঙে বিপদ ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাত্রীদের পড়াশোনা করাতে রাজি নন তারা, তাই দাবি তুলেছেন স্কুলেই শুরু হোক পঠন-পাঠন না হলে পাড়ায় শিক্ষালয়ে পড়ুয়াদের তারা পরতে পাঠাবেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রবল বিস্ফোরণের পরই সকলে দেখলেন, দাউদাউ করে জ্বলছে দু'জন! এ কী কাণ্ড পাঁশকুড়ায়
অভিভাবক পারমিতা ঘরামি বলেন, একটি জঙ্গলের মাঝখানে পড়াশোনা চলছ্র আর মিড ডে মিলের খাবার দেয়া হচ্ছে তার থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নদীর পাড়ে, স্বাভাবিক ভাবে রাস্তা পারাপার করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এমত অবস্থায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমনকি হা পোকামাকড় কামডড়াতে পারে তাই আমরা চাইছি স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করা হোক।
আরও পড়ুন: পাশেই থানা, সিসিটিভি-র তার কাটা! ফের হাবড়ায় যা ঘটল, আতঙ্কে কাঁপছে এলাকাবাসী
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অবনী কুমার বিশ্বাস বলেন, অভিবাবকরা আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তারা দাবি করেছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো যাবে না। স্কুলের ভেতরেই তাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আমার কিছু করার নেই, আমি গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।পাড়ায় শিক্ষালয় শুরু হওয়ার পূর্বে জানানো হয়েছিল সর্ব রকমের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে কিন্তু কোন রকমের সুযোগ-সুবিধা এখন পর্যন্ত সেই ভাবে পাওয়া যায়নি। জলের ব্যবস্থা পর্যন্ত এখন এখানে নেই বাচ্চাদের জন্য জল কিনে নিয়ে আসে খাওয়াতে হচ্ছে নিজেদের উদ্যোগে । বসার জন্য ত্রিপলের ব্যবস্থাও যথেষ্ট নয় যার জন্য বাচ্চাদেরকে গা ঘেসে ঘেসে বস্তু হচ্ছে। অপরদিকে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা যথেষ্ট কম যার জন্য রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে শিক্ষক মহলে।