এক্ষেত্রে বাবা মায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি৷ স্কুলে যেতে না চাইলে বাচ্চার উপর রেগে গেলে বা মেজাজ হারালে চলবে না৷ ভাল করে বোঝাতে হবে, তাদের পাশে থাকতে হবে৷ তাতেও কাজ না হলে মনোবিদ এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞর সাহায্য নিতে হবে৷
advertisement
কিন্তু স্কুলে গিয়েও কি কোভিডবিধি পালন করা সম্ভব হবে? এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বলে মনে করছেন চিকিৎসক সুমন্ত ভট্টাচার্য ৷ তাঁর কথায়, অতিমারি যেন আবার নতুন কোনও তরঙ্গে ফিরে না আসে, তার জন্য ভূমিকা আছে স্কুলের৷ যতটা সম্ভব দূরত্ববিধি মানতে হবে৷ ক্লাসরুমে স্যানিটাইজেশনের বন্দোবস্ত রাখতে হবে৷ নজর থাকুক টিফিন টাইমেও৷ যাতে বাচ্চারা একে অন্যের খাবার শেয়ার না করে৷ কারণ দীর্ঘ ক্ষণ মাস্ক পরে থাকা বাচ্চাদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব৷ তাই সতর্কতামূলক অন্যান্য বিষয়গুলি বেশি করে পালন করতে হবে৷ চিকিৎসকের পরামর্শ, যদি ছোট্ট সময়ের জন্য একটা বাড়তি ক্লাস যোগ করা যায় ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যসুরক্ষা সম্বন্ধে বলার জন্য, তাহলে খুব ভাল হয়৷ কারণ একই কথা বাড়ির লোকের তুলনায় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছ থেকে শুনলে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে তা অনেক বেশি প্রভাবদায়ী হয়৷ তবে এত সবকিছুর পরও বাচ্চাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র উপসর্গ দেখা দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷
আরও পড়ুন : আপনার সন্তানের পরীক্ষা চলছে? এই খাবারগুলি খাচ্ছে তো?
আরও পড়ুন : বাবাকে রেখে, প্রিয় শহর ছেড়ে চলে যেতে চোখের জল বাঁধ মানছে না ইউক্রেনীয় বালকের
যত দিন পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা নির্মূল হচ্ছে, তত দিন অবধি সার্বিকভাবে এই বিধি মেনে চলতে হবে মনে করছেন সুমন্ত৷ স্কুলের পাশাপাশি বাড়ির লোকের ভূমিকাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি৷ মরশুম পরিবর্তনের এই বসন্তকালে রোগবালাই এমনিতেই অনেক বেশি বেড়ে যায়৷ আবার এই সময়েই বসতে হয় মাধ্যমিকে৷ তাই সতর্ক থাকতে হবে খাওয়া দাওয়া নিয়ে৷ বাড়ির তৈরি হাল্কা খাবার খেতে হবে৷ প্রচুর জলপান অত্যাবশ্যকীয়৷ ডিহাইড্রেশন এড়াতে জলপানের পরিমাণ সঠিক বজায় রাখতে হবে৷ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে খাওয়া যেতেই পারে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার৷ এছাড়া লেবুজাতীয় ফল রাখতে হবে ডায়েটে৷