সাধারণ ক্যাটাগরিতেই আবেদন করতে হবে সব প্রার্থীদের
কমিশনের তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, ওবিসি সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্রার্থী SC, ST বা OBC ক্যাটাগরিতে আবেদন করতে পারবেন না। অর্থাৎ যেই প্রার্থী হোন না কেন, আপাতত সবাইকে “জেনারেল” ক্যাটেগরিতেই আবেদন করতে হবে।
এসি কোচে সিটের উপর সাদা চাদরে ঢাকা এটা কী? অস্বাভাবিক নড়াচড়া…DRM-এর ফোনে ছুটে এল GRP, তার পর?
advertisement
SSC-র বক্তব্য, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই কাস্ট ভিত্তিক তথ্য গ্রহণ করা হচ্ছে না, কারণ এতে পরবর্তীতে আইনগত জটিলতা তৈরি হতে পারে।
ভাল করে ইংরেজি বলতে পারেন না? এই টিপসগুলো মানলেই ঘরে বসে তুখোড় ‘ইংলিশ’ বলবেন এবং লিখবেন!
স্কুল শিক্ষক নিয়োগে ওবিসি ক্যাটাগরি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত, এসএসসির বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধন
ওবিসি মামলার রায় বেরোনোর পর ফের চালু হবে ক্যাটেগরি সংশোধনের সুযোগ
কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ওবিসি সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রায় সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টে বেরোনোর পরে আবারও একটি সংশোধনের সুযোগ (উইন্ডো) দেওয়া হবে, যেখানে প্রার্থীরা নিজেদের প্রকৃত কাস্ট/ক্যাটেগরি অনুযায়ী আবেদনপত্র সংশোধন করতে পারবেন।
এই সময়ের মধ্যে যারা ইতিমধ্যেই কাস্ট উল্লেখ করে আবেদন করেছেন, তাদের ক্ষেত্রেও নির্দেশিকা অনুযায়ী পরে সেই তথ্য সংশোধন করা হবে।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
কমিশনের ব্যাখ্যা, বর্তমানে ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন থাকায় আইনি জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কোনও বিভ্রান্তি এড়াতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
একজন কমিশন আধিকারিকের কথায়, “মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত যদি আমরা কাস্ট ভিত্তিক আবেদন গ্রহণ করি, এবং পরে যদি আদালতের রায় কিছুটা ভিন্ন হয়, তা হলে অনেক প্রার্থী সমস্যায় পড়বেন। তাই এখনই একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করা হল।”
ওবিসি ক্যাটাগরি সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক মামলা বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। মূল অভিযোগ—বিভিন্ন শ্রেণির অন্তর্ভুক্তিকরণে স্বচ্ছতা নেই, এবং অনেক ক্ষেত্রে কাগজপত্র যাচাই হয়নি। সেই প্রেক্ষিতেই মামলাগুলি চলছে এবং চূড়ান্ত রায় আসা বাকি।
প্রশ্ন উঠছে—এই সিদ্ধান্তে অনেক ওবিসি প্রার্থী অনিশ্চয়তায় পড়বেন কি না। তবে এসএসসি জানিয়ে দিয়েছে, পরে সবার জন্যই সংশোধনের সুযোগ থাকবে। তাই আপাতত যে কেউ শিক্ষকতার চাকরিতে আবেদন করতে চাইলে, জেনারেল ক্যাটেগরিতেই ফর্ম পূরণ করতে হবে, এবং পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সেই তথ্য সংশোধনের ব্যবস্থা থাকবে।