সাপের চেয়ে বেজির বিষ কী বেশি? ছোবল খেয়েও সাপকে কী ভাবে বার বার হারিয়ে দেয়? ‘সাপে নেউলে’ শত্রুতার পিছনে কোন বিজ্ঞান?

Last Updated:
Snake Bite: মানুষ ভয়ে কাঁটা! কিন্তু ওইটুকু এক বেজি (Mongoose) কী ভাবে সাপের মুখোমুখি হয়ে বারবার জয়ী হয়, তা ভাবলে বিস্ময় জাগে। কিন্তু বিজ্ঞান কী বলে? নেউল (বেজি) আর সাপের লড়াই—এই দৃশ্য বহু মানুষকে রোমাঞ্চিত করেছে।
1/9
সাপে নেউলে যুদ্ধের রহস্য ফাঁস! কীভাবে ছোট্ট বেজি বারবার হারায় বিষধর সাপকে? জানলে চমকে যাবেন!‘সাপে নেউলে’—এই উপমাটা আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, কেন এই শত্রুতা এত প্রবাদপ্রতিম? আর সবথেকে বড় প্রশ্ন—একটা ছোটখাটো প্রাণী কীভাবে বিষাক্ত সাপকে ঠারেঠোরে হারিয়ে দেয়?
সাপে নেউলে যুদ্ধের রহস্য ফাঁস! কীভাবে ছোট্ট বেজি বারবার হারায় বিষধর সাপকে? জানলে চমকে যাবেন! ‘সাপে নেউলে’—এই উপমাটা আমরা ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন, কেন এই শত্রুতা এত প্রবাদপ্রতিম? আর সবথেকে বড় প্রশ্ন—একটা ছোটখাটো প্রাণী কীভাবে বিষাক্ত সাপকে ঠারেঠোরে হারিয়ে দেয়?
advertisement
2/9
কেবল লোককথা বা হরিণে হাঁ করে চাওয়া ভিডিও নয়, প্রকৃতি নিজেই যেন এক দারুণ থ্রিলার লিখে ফেলেছে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে।এ যেন প্রকৃতির বুকে রোজ লেখা হচ্ছে ‘ডেভিড বনাম গলিয়াথ’-এর এক আধুনিক অধ্যায়। যেখানে ক্ষুদে বেজি, অর্থাৎ নেউল, পরপর ধাক্কা মারে সাপের অহংকারে। কী এমন রহস্য আছে তার শরীরে? কেন বারবার পরাস্ত হয় বিষধর সরীসৃপ?
কেবল লোককথা বা হরিণে হাঁ করে চাওয়া ভিডিও নয়, প্রকৃতি নিজেই যেন এক দারুণ থ্রিলার লিখে ফেলেছে এই দ্বন্দ্ব নিয়ে। এ যেন প্রকৃতির বুকে রোজ লেখা হচ্ছে ‘ডেভিড বনাম গলিয়াথ’-এর এক আধুনিক অধ্যায়। যেখানে ক্ষুদে বেজি, অর্থাৎ নেউল, পরপর ধাক্কা মারে সাপের অহংকারে। কী এমন রহস্য আছে তার শরীরে? কেন বারবার পরাস্ত হয় বিষধর সরীসৃপ?
advertisement
3/9
আসলে নেউলের দেহগঠন, স্বভাব এবং জিনগত কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যই তাকে সাপের মতো বিষধর শত্রুর বিরুদ্ধে এতটা শক্তিশালী করে তোলে। আজও এই দ্বন্দ্ব প্রকৃতির এক বিস্ময়কর অধ্যায় হয়ে আছে। কেন নেউল সাপকে হারায়, তারই পেছনের পাঁচটি বৈজ্ঞানিক কারণ নিয়েই এই আলোচনা।
আসলে নেউলের দেহগঠন, স্বভাব এবং জিনগত কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যই তাকে সাপের মতো বিষধর শত্রুর বিরুদ্ধে এতটা শক্তিশালী করে তোলে। আজও এই দ্বন্দ্ব প্রকৃতির এক বিস্ময়কর অধ্যায় হয়ে আছে। কেন নেউল সাপকে হারায়, তারই পেছনের পাঁচটি বৈজ্ঞানিক কারণ নিয়েই এই আলোচনা।
advertisement
4/9
১. 

সাপের বিষ সাধারণত নিউরোটক্সিন, যা মুহূর্তে পক্ষাঘাত ঘটাতে পারে। কিন্তু নেউলের শরীরে থাকে এক ধরনের গ্লাইকোপ্রোটিন, যা ওই নিউরোটক্সিনকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় অনেকাংশে। মানে, সাপ ছোবল মারলেও ততটা ক্ষতি হয় না। যদিও একেবারেই অমর নয় নেউল—ভীষণ বেশি বিষ ঢুকলে তারও মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু সাধারণত যেটুকু ছোবল, তা সে হজম করে নেয় চাটনির মতো!
১.  সাপের বিষ সাধারণত নিউরোটক্সিন, যা মুহূর্তে পক্ষাঘাত ঘটাতে পারে। কিন্তু নেউলের শরীরে থাকে এক ধরনের গ্লাইকোপ্রোটিন, যা ওই নিউরোটক্সিনকে নিষ্ক্রিয় করে দেয় অনেকাংশে। মানে, সাপ ছোবল মারলেও ততটা ক্ষতি হয় না। যদিও একেবারেই অমর নয় নেউল—ভীষণ বেশি বিষ ঢুকলে তারও মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু সাধারণত যেটুকু ছোবল, তা সে হজম করে নেয় চাটনির মতো!
advertisement
5/9
২. 

নেউল আসলে প্রকৃতির এক দুরন্ত অ্যাক্রোব্যাট। তার রিফ্লেক্স এতটাই তীব্র যে সাপ ছোবল মারার আগেই সে এক চমকে সরে যেতে পারে। শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, তার ঝাঁপ, কামড়, ঘুরপাক—সবই যেন নিখুঁত কোরিওগ্রাফি। এই চটপটে স্বভাবই তাকে আক্রমণকারী থেকে প্রতিরোধকারী করে তোলে।
২.  নেউল আসলে প্রকৃতির এক দুরন্ত অ্যাক্রোব্যাট। তার রিফ্লেক্স এতটাই তীব্র যে সাপ ছোবল মারার আগেই সে এক চমকে সরে যেতে পারে। শুধু প্রতিক্রিয়া নয়, তার ঝাঁপ, কামড়, ঘুরপাক—সবই যেন নিখুঁত কোরিওগ্রাফি। এই চটপটে স্বভাবই তাকে আক্রমণকারী থেকে প্রতিরোধকারী করে তোলে।
advertisement
6/9
৩. সাপ ছোবল মারলেও, নেউলের পুরু লোম আর শক্ত ত্বক সাপের দাঁতের গভীরে ঢোকা আটকে দেয়। অনেক সময় সাপের বিষগ্রন্থি থেকে বিষ ঠিকমতো বেরোতেই পারে না। আর তাই একটা ছোবল মানেই নিশ্চিত মৃত্যু—এই ফর্মুলা নেউলের ক্ষেত্রে খাটে না।
৩.  সাপ ছোবল মারলেও, নেউলের পুরু লোম আর শক্ত ত্বক সাপের দাঁতের গভীরে ঢোকা আটকে দেয়। অনেক সময় সাপের বিষগ্রন্থি থেকে বিষ ঠিকমতো বেরোতেই পারে না। আর তাই একটা ছোবল মানেই নিশ্চিত মৃত্যু—এই ফর্মুলা নেউলের ক্ষেত্রে খাটে না।
advertisement
7/9
৪. এই লড়াইয়ের পেছনে আছে আরও এক গা-ছমছমে বাস্তব—**নেউল সাপকে খায়।** হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন! বিষধর হোক বা নির্বিষ, সাপ তার খাদ্যতালিকার অংশ। ফলে লড়াইটা শুধু আত্মরক্ষার নয়, বরং ক্ষুধার, অস্তিত্বের—এ এক রক্তমাখা কৌশল যেখানে বেঁচে থাকার মানেই হল জয়।
৪.  এই লড়াইয়ের পেছনে আছে আরও এক গা-ছমছমে বাস্তব—**নেউল সাপকে খায়।** হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন! বিষধর হোক বা নির্বিষ, সাপ তার খাদ্যতালিকার অংশ। ফলে লড়াইটা শুধু আত্মরক্ষার নয়, বরং ক্ষুধার, অস্তিত্বের—এ এক রক্তমাখা কৌশল যেখানে বেঁচে থাকার মানেই হল জয়।
advertisement
8/9
৫. 

বিজ্ঞান বলছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম নেউলের মধ্যে এই বিষপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে। যারা সাপের ছোবলে বেঁচে গিয়েছে, তাদের জিনই টিকে থেকেছে পরবর্তী প্রজন্মে। ফলে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে এমন এক প্রজাতি, যাদের শরীরে বিষ যেন ঠিকভাবে কাজই করতে চায় না।
৫.  বিজ্ঞান বলছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম নেউলের মধ্যে এই বিষপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে। যারা সাপের ছোবলে বেঁচে গিয়েছে, তাদের জিনই টিকে থেকেছে পরবর্তী প্রজন্মে। ফলে ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে এমন এক প্রজাতি, যাদের শরীরে বিষ যেন ঠিকভাবে কাজই করতে চায় না।
advertisement
9/9
সাপে নেউলে শত্রুতা শুধুই লোকগাথা নয়, এটি এক আদিম জীবনীযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি—প্রাণ বাঁচানোর, শিকার ধরার, আর বিবর্তনের চরম উদাহরণ।

আজও কোনও জঙ্গলে, কোনও ঝোপের আড়ালে এই লড়াই হয়তো চলছে—নীরবে, রুদ্ধশ্বাসে। সেখানেই প্রকৃতি লিখে চলেছে সাহস, প্রতিক্রিয়া আর বেঁচে থাকার এক অনবদ্য কাব্য, যার নাম ‘সাপে নেউলে’।
সাপে নেউলে শত্রুতা শুধুই লোকগাথা নয়, এটি এক আদিম জীবনীযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি—প্রাণ বাঁচানোর, শিকার ধরার, আর বিবর্তনের চরম উদাহরণ। আজও কোনও জঙ্গলে, কোনও ঝোপের আড়ালে এই লড়াই হয়তো চলছে—নীরবে, রুদ্ধশ্বাসে। সেখানেই প্রকৃতি লিখে চলেছে সাহস, প্রতিক্রিয়া আর বেঁচে থাকার এক অনবদ্য কাব্য, যার নাম ‘সাপে নেউলে’।
advertisement
advertisement
advertisement