সুন্দরবনের এক কোণায়, বাঁশতলা গ্রামের অতি সাধারণ এক পরিবারে জন্ম বিদিশার। বাবা কলকাতায় রিকশা চালিয়ে কোনওমতে সংসার চালান। একটি মাত্র ঘরের মধ্যে মা-বাবা আর প্রতিদিনের হালচাল। পড়ার কোনও নিরিবিলি পরিবেশ নেই, নেই আলাদা পড়ার টেবিল কিংবা নিটের জন্য কোচিং করার সামর্থ্য। তবুও থেমে যায়নি বিদিশার লড়াই।
advertisement
বিদিশা বলছে, ‘অনেক সময় বাড়িতে মন বসাতে পারিনি। তখন পুকুরপাড়ে গিয়ে বসতাম, কখনও মাঠের এক কোণে। মাথায় শুধু একটা কথাই ছিল- আমাকে ডাক্তার হতে হবে। কারণ আমাদের মতো গ্রামের মানুষদের চিকিৎসার জন্য দূরে যেতে হয়। আমি চাই, এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে।’
কোচিং সেন্টারের ক্লাস নয়, ইউটিউবের ভিডিওই ছিল তার শিক্ষক। প্রখর ইচ্ছাশক্তি আর নিজের উপর অগাধ বিশ্বাসই ছিল তার আসল পুঁজি। আর আজ, সেই অদম্য মেয়েটিই নিট পরীক্ষায় সাফল্য পেয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে স্বপ্ন বড় হলে, পরিস্থিতি নয়, মন-ই সবকিছু। বিদিশার সাফল্য শুধু তার নিজের নয়—এই জয় গোটা সুন্দরবনের, এই জয় সেই সব মেয়েদের যাদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে শুধু সাহস আর সাধনায়।
জুলফিকার মোল্যা