কিন্তু গত মাসেই ঘৃণ্য জঙ্গি হামলার বলি হয়েছেন এই পরিবারের কর্তা। সেই বিচ্ছেদ যন্ত্রণা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি পরিবারটি। ফলে বাড়ির ছেলের এহেন সাফল্য উদযাপন করার ইচ্ছেটুকুও নেই পরিবারের সদস্যদের। ধ্রুবের আত্মীয় পরিজনদের বক্তব্য, হেমন্ত জোশীর মৃত্যুর শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ধ্রুব এবং তার মা। আর পুত্রের সাফল্যের এই আনন্দের মুহূর্তের সাক্ষী থাকা হল না বাবার। সেই কারণেই আরও যন্ত্রণা পাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র।
advertisement
গত ২২ এপ্রিল ডোম্বিভলির বাসিন্দা হেমন্ত জোশী, সঞ্জয় লেলে এবং অতুল মোনে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মুখে পড়েছিলেন। এঁদের তিন জনের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন পহেলগাঁওয়ে ভ্রমণকালে নিজেদের পরিবারের সামনেই গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল তাঁদের তিন জনকেই।
এদিকে গত মঙ্গলবারই প্রকাশিত হয়েছে মহারাষ্ট্র স্টেট বোর্ড অফ সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশনের নেওয়া পরীক্ষার ফলাফল। আর তাতেই দুর্দান্ত ফল করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ধ্রুব। জোশী পরিবারের আত্মীয় রাজেশ কদম বলেন যে, ওমকার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র ধ্রুব। সে এবং তার পরিবার এখনও শোকের মধ্যে রয়েছে। কারণ পুত্রের সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না বাবা, এটাই তাঁদের আফসোস।
রাজেশ কদম আরও বলেন যে, সম্প্রতি সঞ্জয় লেলের পুত্র এবং আমার ভাইপো হর্ষদও এ-গ্রেড নিয়ে TYBcom পাশ করেছে। তারাও চোখের সামনে নিজেদের বাবাদের জঙ্গিদের হাতে বলি হতে দেখেছে। অন্যদিকে আবার ধ্রুবের আর এক আত্মীয় মোহিত ভাবে বলেন যে, বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হতে চায় ধ্রুব। আর সে ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়।
প্রসঙ্গত, ধ্রুবের আত্মীয় মহারাষ্ট্রের অতুল মোনেও জঙ্গি হামলার বলি হয়েছিলেন। তিনি পেশায় ছিলেন ভারতীয় রেলওয়ের একজন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার। তিনি নিজের স্ত্রী এবং কন্যার সঙ্গে পহেলগাঁও বেড়াতে গিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি ভূস্বর্গ ভ্রমণে অতুলের সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর তুতো ভাই সঞ্জয় লেলে এবং হেমন্ত জোশীও। ৬ দিনের ছুটিতে এই পরিবারটির ৯ জন সদস্য বেড়াতে গিয়েছিলেন। তাঁদের ২৬ এপ্রিল ছুটি কাটিয়ে ফেরার কথা ছিল।