এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উদ্ধাস্তুদের পাট্টা বিলির একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''স্কুল গুলো চালু হয়েছে। বড়রা যাচ্ছে স্কুলে। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত চলছে পাড়ায় শিক্ষালয়। ছোটদেরটা কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। কোভিড পুরোটা নিয়ন্ত্রণে এসে গেলেই হবে। আবার নাকি একটা ভ্যারিয়েন্ট আসছে। ছোট ক্লাসগুলো ৫০ পার্সেন্ট করে ক্লাস করতে পারে নাকি, সেটা স্কুল গুলোর সঙ্গে কথা বলে দেখতে হবে। তাহলে আর্ধেক করে ভাগাভাগি করে নেওয়া যাবে।'' মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরেই আশার আলো দেখছেন অভিভাবকরা। তাঁদের অনেকের ধারণা, এরপর খুদেদের জন্যও খুলে দেওয়া হবে স্কুল।
advertisement
আরও পড়ুন: ১ কোটি! রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বিরাট খবর, চলছে নাম নথিভূক্তিকরণ...
কোভিড মহামারীর কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২০ সালের মার্চ মাসে প্রথমবারের মতো রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুল চালু করেছিল সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন এবং সেই সময় কোভিড পরিস্থিতির কারণে ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুলের দরজা। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়কালে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে আবার বন্ধ করতে হয়েছিল স্কুল। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে আবার শুরু হয়েছিল নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস। কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে গত ৩ জানুয়ারি ফের রাজ্যে বন্ধ হয়েছিল সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অবশ্য খুদেরা স্কুলে যেতে পারেনি বহুদিন।
কীভাবে কোভিড বিধি মেনে ঠিকমতো ক্লাস করা যাবে, তা নিয়ে কিছুটা চিন্তা থাকলেও অবশেষে স্কুল খোলায় খুশি অধিকাংশ অভিভাবক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। নির্দেশ অনুযায়ী, ক্লাস শুরুর আধ ঘন্টা আগে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পৌঁছে যেতে হচ্ছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির প্রাক্টিক্যাল ক্লাসও শুরু হয়েছে। এবার ছোটদের স্কুল খোলা নিয়েও আশার কথাই শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।