মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পরামর্শের পরই চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে নতুন করে বিভ্রান্তি ছড়ায়৷ কেন মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছাশ্রমের কথা বললেন, স্বেচ্ছাশ্রম দিলে বেতন পাওয়া যাবে কি না, দর্শকাসন থেকেই এই ধরনের প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে ছুড়ে দেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন: ‘যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর দায়িত্ব সরকারের’, নেতাজি ইন্ডোরের সভায় বড় ঘোষণা মমতা
মঞ্চে দাঁড়িয়েই শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটু বুদ্ধি খাটান আপনারা৷ সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়ে চাকরি বাতিল করেছে৷ এখন আমি আপনাদের বলতে পারি না যে আপনাদের চাকরি বহাল আছে৷ কিন্তু স্বেচ্ছায় যে কেউ স্কুলে গিয়ে পড়াতে পারে৷ যতদিন না পর্যন্ত আমরা আদালতে ফের আবেদন করছি, আদালত রায়ের ব্যাখ্যা দিচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আপনারা স্বেচ্ছায় স্কুলে গিয়ে পড়ান৷ দুই মাস সাফার করলে, ২০ বছর সাফার করতে হবে না। কাউকে ভিক্ষা করতে হবে না। আপনাদের কি অবস্থা আমি জানি, লোন, ঋণ, নয়া সংসার আছে। আমি সব জানি। আপনারা সার্ভিসে যান। আপনারা পড়াশোনা করুন।’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের টার্মিনেট কেউ করেনি। আপনাদের কাজ করতে কেউ বারণ করেছে? যান বাচ্চাদের শিক্ষা দিন।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যদি শেষ পর্যন্ত আদালত যোগ্য অযোগ্য সব শিক্ষকদেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ বজায় রাখে, সেক্ষেত্রেও বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি আছে বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷