যদি ভারত বদলা নেয়…’পৃথিবীর শেষ, কেউ বাঁচবে না!’ উত্তেজনার মাঝে বিস্ফোরক দাবি পাক মন্ত্রীর!
এই গাছগুলো ভুল করেও বাড়ির চারপাশে লাগাবেন না! সাপ ডেকে আনে, হয়ে উঠবে ‘নাগরাজের বাসা’!
advertisement
মাধ্যমিকে ভয়াবহ ফল করে রাজ্যের শিক্ষামহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই স্কুল। পানোয়ার বস্তির চা বাগান এলাকার প্রান্তিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়ে এই বিদ্যালয়ে। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩২ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৩০ জনই অকৃতকার্য। মাত্র ২ জন পাশ করেছে, তাও কোনোরকমে। সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ২৮৫। এই পরিসংখ্যান অস্বস্তিতে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে শিক্ষাব্যবস্থাকে।
বিদ্যালয়ে নেই কোনও স্থায়ী প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরেই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হীরালাল রবিদাস দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে রয়েছেন ৮ জন স্থায়ী এবং ৪ জন পার্শ শিক্ষক, কিন্তু স্থানীয়দের দাবি—বেশিরভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকাই নিয়মিত ক্লাসে দেখা যায় না। শিক্ষার প্রতি এই উদাসীনতাই হয়তো আজকের ভয়ঙ্কর ফলাফলের কারণ।হীরালালবাবু বলেন, “চা বাগান এলাকার পড়ুয়ারা মূলত হিন্দি মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পায়।
বাংলা ও ইংরেজিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ায় তারা সমস্যায় পড়ে। গরমের ছুটির পর আমরা ফলাফল খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”প্রশ্ন উঠছে, এই শিশুদের দায় কাদের? শিক্ষকদের? ব্যবস্থার? নাকি আমাদের সবার? টোটোপাড়ার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফলও যেখানে ভালো, সেখানে শহরতলির এক স্কুলের এমন পতন নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক। একটু নজর, একটু যত্ন—হয়তো বদলে দিতে পারে আগামী বছরগুলো। অন্তত সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন অভিভাবকদের একাংশ।
সুরজিৎ দে
