ছোটবেলা থেকেই আর্থিক দুরবস্থার সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে রজনী। তাই চলতি বছরে মাধ্যমিকে তাঁর ৬৬৪ নম্বর পাওয়ার পর রীতিমত খুশির হওয়া তাঁর পরিবারে। এছাড়া তাঁর স্কুল শিক্ষকেরাও রীতিমত খুশি তাঁর এই সাফল্যে। আগামী দিনে সে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে চায় নিজেকে।
আরও পড়ুন: ‘তুমি ৫৭.৫৩ কোটি টাকার জ্যাকপট জিতেছ…’, আচমকা এল ফোন! এরপরেই যা ঘটল, মুহূর্তে ছুটল ঘাম!
advertisement
কৃতী ছাত্র রজনী মোদক জানায়, “ছোটবেলা থেকেই তাঁর পড়াশোনা করতে ভাল লাগে। নিয়ম করে পড়াশোনা আর কঠোর পরিশ্রম আজ তাঁর এই সাফল্য এনে দিয়েছে। কোনও গৃহ শিক্ষক ছিল না এই ছাত্রের। শুধুমাত্র নিজের পড়াশোনা এবং স্কুল শিক্ষকদের সহায়তায় সে এই নম্বর পেয়েছে।
সারাদিনে সময় ধরে পড়াশোনা করা, আর কিছুটা সময় প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো তাঁর নিত্যদিনের নিয়ম। আগামী দিনে রজনীর ইচ্ছে একজন সফল ডাক্তার হয়ে ওঠা। এবং মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা। তবে পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা ভাবিয়ে তোলে তাঁকে সবসময়।
রজনী মোদকের বাবা কৃষ্ণ মোদক জানান, “তিনি পেশাগত ভাবে দিনমজুর এবং কিছু সময় ভ্যান রিক্সা চালান। এই দিয়েই চলে উপার্জন। আর সেই উপার্জনের টাকায় সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। ছেলের সাফল্যে তিনি দারুণ খুশি। তবে ভবিষ্যত দিনে ছেলের পড়াশোনার খরচ তাঁকে বারবার ভাবিয়ে তোলে।”
রজনী মোদকের দিদি শান্তনা মোদক জানান, “ভাইয়ের এই সাফল্য অনেকটাই খুশি করেছে তাঁদের। ভাইয়ের ভবিষ্যৎ দিনের সাফল্য তাঁরা কামনা করেন সবসময়। তবে আর্থিক বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সকলেই চিন্তায় রয়েছেন। কারণ বিজ্ঞান বিভাগের পড়ার খরচ বেশ অনেকটাই।”
বর্তমানে রজনীর ডাক্তার হয়ে ওঠার স্বপ্নের মাঝে একটি বড় বাধা আর্থিক দুরবস্থা। ভবিষ্যত দিনে পড়ার খরচ বেড়ে উঠতে চলেছে। আর তাতেই রাতের ঘুম উড়েছে গোটা পরিবারের। তাঁদের আবেদন যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ায় তবে অনেকটাই সাহায্য হবে তাঁদের।
সার্থক পণ্ডিত