পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় ব্লকের হোসেনপুর এর কৃতি সন্তান প্রীতম দাস। বাখরাবাদ ভারতী বিদ্যাপীঠ থেকে এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে সে। প্রাপ্ত নম্বর ৬২২। সামান্য দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার থেকে বড় হয়ে ওঠা তার। মাথার উপর বড় দিদি। স্নাতক পড়ে আর অর্থাভাবে পড়াশোনা করেনি। বাবার সামান্য ক’টাকা রোজগারে চলে সংসার। সেভাবে জোটেনি প্রাইভেট টিউশন। স্কুল এবং নিজের প্রচেষ্টায় মাধ্যমিকে বেশ ভাল নম্বর পেয়েছে প্রীতম।
advertisement
প্রীতমের বাবা মদন দাস। সামান্য মাটির বাড়িতে থাকে পাঁচজন। মদন বাবুর সামান্য দেড় বিঘা জমিতে চাষবাস করে যা রোজগার হয় তাতেই চলে সংসার। বাড়িতে বৃদ্ধ মায়ের ওষুধ আনতে গিয়ে সংসার এবং ছেলের পড়াশোনায় তেমন একটা অর্থ সাহায্য করতে পারেন না তিনি। কখনও কখনও আবার বাবাকে মাঠের কাজের সাহায্য করে প্রীতম। শরীরে ক্লান্তি নিয়ে সামান্য কয়েক ঘণ্টা পরে মাধ্যমিকে ভাল রেজাল্ট তার।
প্রতিদিন প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে লড়াই, অর্থ কষ্টের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে করতে ক্লান্ত হয়েও মাধ্যমিকে তারই সফলতার খবর আসতেই চোখে জল বাবা-মায়ের। ছোট থেকেই প্রীতম স্বপ্ন দেখে ডাক্তার হওয়ার। সম্প্রতি বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। তবে সামনে তার ভবিষ্যতে বাধা অর্থ।
আগামীতে ডাক্তার হয়ে গ্রামীণ এলাকায় সকলের জন্য চিকিৎসা করতে চায় প্রীতম। কিন্তু প্রীতমকে অদূর ভবিষ্যতে পৌঁছে দিতে চাই সকলের সাহায্য। আদৌ কি সফল হবে তার এই স্বপ্ন? গ্রামের মাটির বাড়ি থেকে লাল মোরামের রাস্তা ধরে এক এক করে পৌঁছতে পারবে স্বপ্নের চূড়ায়? সে প্রশ্ন এখন তাদের মনে।
রঞ্জন চন্দ