পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের একটি বেসরকারি আবাসিক হোমে থেকে পড়াশুনা করে নজরকাড়া সাফল্য জুটেছে দাঁতন ব্লকের তিন বিশেষভাবে সক্ষম কৃতি ছাত্রীর। দাঁতন ব্লকের বাসিন্দা হাবিবা খাতুন এবারে মাধ্যমিকে পেয়েছে ৩১৭ নম্বর, কুহেলি দাস পেয়েছে ৩৯৩ এবং পাপিয়া প্রামাণিক পেয়েছে ২৯৪ নম্বর। তাদের এই সাফল্যে খুশি হোম কর্তৃপক্ষ থেকে পরিবারের সকলে। প্রসঙ্গত ছোট থেকেই শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম তারা। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হলেও পড়াশোনা, নানান বৃত্তিমূলক কাজের পাশাপাশি নৃত্যেও অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে হাবিবা এবং পাপিয়ার। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের অসাধারণ দক্ষতা নজর কাড়ে সকলের। শুধু তাই নয়, কুহেলি দারুন গান ও আবৃত্তি করে। বড় হয়ে তারাও স্বপ্ন দেখে আর পাঁচজনের মতো। নিজের জেদে আজ সফল মাধ্যমিকে।
advertisement
আরও পড়ুন: চোখে না দেখেও মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর
সকলে ৮০-৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। দাঁতনের একটি আবাসিক হোমে থেকে পড়াশুনা করে পরীক্ষা দিয়েছে তারা। হোমের আবাসিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে শিখেছে পড়াশুনা। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় দাঁতন বীণাপাণি গার্লস হাইস্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে সফলতা জুটেছে তাদের। বড় হয়ে বিশেষ সক্ষম ছেলেমেয়েদের নিয়ে কাজ করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে হাবিবা। নিজে একজন চাহিদাসম্পন্ন হয়েও অন্যদের এগিয়ে দিতে চায় সমাজের মূল স্রোতে।
অন্যদিকে পাপিয়া চায় বড় হয়ে নার্স হতে। পড়াশোনা করে মনে ভয় নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে সফলতা পেয়েছে সে। শুধু তাই নয়, কুহেলির গানের গলা শুনলে মুগ্ধ হবেন। আর পাঁচজনের মতো গান, কবিতা আবৃত্তি করতে পারে সে। তার ইচ্ছে গান, কবিতার প্রশিক্ষক হয়ে অন্যদের শিক্ষা দেওয়া। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হলেও যে তারা কোনও অংশে পিছিয়ে নেই, তা একবার প্রমাণ করল এই তিন মেয়ে। পড়াশুনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তাদের। তাদের এই সাফল্যে খুশি হোম কর্তৃপক্ষ। আরও সামনের দিকে এগিয়ে দিতে চায় তারাও।
রঞ্জন চন্দ