এক সময়ে শহরের অন্যান্য নামী স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এই রামপুরহাট হাই স্কুল। এই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে উচ্চপদে চাকরি করেছেন বা করছেন অনেকে। এর আগে বেশ কয়েকবার রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এই স্কুলের পড়ুয়ারা।
advertisement
এই স্কুলের শিক্ষক নিখিল সিংহ রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। রাজ্যের সেরা স্কুলের সম্মানও পেয়েছে এই বিদ্যালয়টি। সেই স্কুলে যে এমন বিপর্যয় নেমে আসবে তা অনেকেই আশা করেননি। ফল প্রকাশ হতেই সামাজিক মাধ্যমে ও মানুষের আলাপ আলোচনায় ঝড় উঠেছে।
রামপুরহাট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলম ফোনের মাধ্যমে জানান, “আমি তিন বছর ধরে স্কুলে রয়েছি তবে এইরকম ফলাফল আগে কখনও দেখিনি বা শুনিনি, তবে এই বছরের ফলাফল বেশ অবাক করছে সকলকে। অন্যদিকে রামপুরহাট হাই স্কুল থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে রামপুরহাট জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবন সেই স্কুলে ভরতি হওয়ার সুযোগ না পেলে শিক্ষার্থীরা আসেন রামপুরহাট হাইস্কুলে ভরতি হতে। এক কথায় এখানে লো-কোয়ালিটির শিক্ষার্থীরা ভরতি হয়। আর তারা ভরতি হলেও দীর্ঘ সময় ধরে স্কুলে আসে না। আর এই কারণের জন্যই এই ধরনের ফলাফল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।”
আরও পডুন: মাত্র ২ দিন পর থেকেই…আকাশছোঁয়া সাফল্য, টাকার বৃষ্টি! সূর্যের রাজযোগে রাজা হবে ৩ রাশি
অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন এই ভাবেই চলতে থাকলে স্কুলের প্রাচীন যে ঐতিহ্য রয়েছে সেই ঐতিহ্য ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। অন্যদিকে রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক ড: আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি বলেন অনেকে স্কুল থেকে সেরা তালিকায় নাম করে নিয়েছে।কৃতি ছাত্ররা বেরিয়েছে। তবে এই বছর কেন এত বাজে ফলাফল সেই বিষয়ে পর্যালোচনা করা উচিত।
সৌভিক রায়