চলতি সপ্তাহেই মুখ্যসচিব ভার্চুয়ালি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নিয়ে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের বৈঠক হওয়াকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও সূত্রের খবর, নিছকই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আরও একবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যদিও শেষবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে দুই পর্ষদের সভাপতি না থাকলেও এবারের বৈঠকে দুই বোর্ডের সভাপতির সশরীরে নবান্নে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের জন্য কোডিং প্রতিযোগিতা, বিজয়ীরা পাবেন ৩ লক্ষ টাকা!
ইতিমধ্যেই দুই পরীক্ষার প্রস্তুতি কেমন হবে তা নিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সামনে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা কেন্দ্রে কিরকম ব্যবস্থা হবে, কত পুলিশ মোতায়েন রাখতে হবে সেই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষা চলাকালীন ইন্টারনেট বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য স্বরাষ্ট্র দপ্তর নেবে বলেই পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: এই বইগুলো আছে তো? প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবার সহজ ব্যাপার
মূলত পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্র যাতে বেরিয়ে না যায় বা টোকাটুকির মতো কোনও ঘটনা না ঘটে তার জন্য দু'বছর আগের পরীক্ষাতেও এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এবারের পরীক্ষাতেও একই সিদ্ধান্ত বজায় রাখতে চায় দুই বোর্ড ই।
অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা হোম সেন্টারে করলেও মাধ্যমিক পরীক্ষা অবশ্য হোম সেন্টারে নেওয়া হবে না। যদিও বাড়ির কাছাকাছি পরীক্ষাকেন্দ্র করার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে পর্ষদ সূত্রের খবর। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ১১ লক্ষের কাছাকাছি। উচ্চমাধ্যমিকে অবশ্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হতে চলেছে ৮ লক্ষের সামান্য বেশি।
আগামী ৭ ই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক, ২রা এপ্রিল থেকে শুরু হবে উচ্চ মাধ্যমিক। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও একবার বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। যদিও এই বিষয় নিয়ে দুই বোর্ডের সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।