আরও পড়ুনঃ প্রকাশিত CBSE দ্বাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট! পাশের হারে ছেলেদের টেক্কা দিল মেয়েরা
আজ সেই শিশুই যেন হয়ে উঠেছে এক বিস্ময়। ভেঙে না পড়ে, নিজেকে তৈরি করেছে এক সংগ্রামী জীবনযাত্রার জন্য। বছর ১৫ সেই ছাত্রী নিশা চক্রবর্তী এবার বসতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের পাঁচপোতা ভাড়াডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। একটি বিরল জেনেটিক রোগ, অস্টিওজেনেসিস ইনপারফেক্টা-তে আক্রান্ত। এই রোগে শরীরের হাড়গুলি অত্যন্ত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, সামান্য চাপ বা নড়াচড়াতেও হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সেই কারণে ছোটবেলা থেকেই মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যাওয়া, সাবধানে চলাফেরা এই ভাবেই চলে নিশার জীবনযাত্রা। নিশার বাবা পেশায় একজন ফুচকা বিক্রেতা।
advertisement
অভাবের সংসার, কিন্তু মেয়ের স্বপ্নকে কোনওদিন থমকে যেতে দেননি তিনি। মেয়ের লেখাপড়া ও চিকিৎসা চালিয়ে যেতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন নিশার বাবা-মা। নিশার লক্ষ্য একদিন চিকিৎসক হওয়া। বড় হয়ে তার মতো অসুস্থদের পাশে দাঁড়াতে চায় সে।নিশার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও সব রকমভাবে তার পাশে থেকে সাহায্য করেন। বিরল রোগে আক্রান্ত এই ছাত্রীর মানসিক জেদ ও অদম্য ইচ্ছা শক্তি যেন তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সমস্যা অনেক, রোগের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত চিকিৎসা, বিশেষ যত্ন সহ চলাফেরা সবকিছুতেই সাবধানতা। কিন্তু ফুচকা বিক্রেতা বাবার সামান্য আয়ে তা সম্ভব হচ্ছে না। নিশার পরিবার তাই এক প্রকার সমাজের সহানুভূতি এবং সরকারি সাহায্যের দিকে তাকিয়ে। বিরল রোগে আক্রান্ত ছাত্রী নিশা চক্রবর্তী তাই এখন জীবন যুদ্ধে লড়াই চালিয়েই স্বপ্ন দেখছে এগিয়ে যাওয়ার।
Rudra Narayan Roy