গত দু বছর ধরে রোজ ৬০০ টাকা মজুরিতে দিনমজুরের কাজ করছেন উমর। দিনে কাজ, রাত জেগে পড়া-এই ভাবেই কাটছিল দিন। বলেছেন, ‘‘খুব কঠিন সময় ছিল। সকালে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতাম। রাতে পড়তাম। আমার কঠিন শ্রমের ফল আজ পেলাম।’’ সকলের প্রতি তাঁর পরামর্শ, পরিশ্রম করে যেতে। কারণ জীবনের শ্রম কোনওদিন বিফলে যায় না। একদিন না একদিন সুফল পাওয়া যাবেই।
advertisement
একই রকম খুশির ছবি কুলগাঁও জেলায়। ইমাম সৈয়দ সাইয়াদের বাড়িতে উদযাপনের জোয়ার। তাঁর যমজ মেয়ে সৈয়দ তাবিয়া এবং সৈয়দ বিসমা পরীক্ষায় যথাক্রমে ৬২৫ এবং ৫৭০ পেয়েছেন নিট-এ।
তাবিয়ার কথায়, ‘‘আমার এই সাফল্যে খুবই খুশি। আনন্দ আরও বেড়ে গিয়েছে যখন দেখলাম বোনও এত ভাল ফল করেছে।’’ বিসমা আত্মবিশ্বাসী যে তাঁরা দুই বোনই ভাল মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাবেন। বলেছেন, ‘‘রেজাল্টের আগে আমি খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। কিন্তু এখন যখন রেজাল্ট বেরিয়ে গিয়েছে, আর সেখানে আমরা দুজনেই উত্তীর্ণ, আমাদের বাবা মা অত্যন্ত আনন্দিত।’’