গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে সাগ্নিক কিন্তু প্রস্তুতির সময় খুব একটা সময় হয়ে ওঠেনি গল্পের বই পড়ার। রাজ্যের জয়েন্টে অষ্টম রাঙ্ক করলেও সাগ্নিক জানায় তার মূল লক্ষ্য মেন্স এন্ড অ্যাডভান্স। আপাতত এডভান্সের প্রস্তুতি নিতেতেই সে ব্যস্ত। কৃতি ছাত্র সাগ্নিক বলেন ঘড়ি ধরে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর করা প্র্যাকটিস করতে হবে। সময়কে আয়ত্তে না আনতে পারলে পরীক্ষার হলে খুব একটা সাফল্য আসবে না। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন সাগ্নিক । তিনি মনে করেন অধ্যাবসায়ের সঙ্গে প্র্যাকটিস করলেই জয়েন্টে সফলতা পাওয়া খুবই সহজ।
advertisement
আরও পড়ুন:- সাত মাস খোঁজ মেলেনি ব্যক্তির,তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরানোর ঘটনা অবাক করবে আপনাকে
সাগ্নিকের বাবা আনন্দ রঞ্জন নন্দী বলছেন এখনও অব্দি যা যা ভেবেছিলেন এবং যা যা চেয়েছিলেন ঠিক তাই তাই ঘটেছে তার ছেলে ছাত্র জীবনে। এখন শুধু অপেক্ষা মেন্সের। সেখানেও ভাল ফল হলে হলে আরও খুশি হবেন তিনি। সাগ্নিকের সফলতার খবর পেয়ে তাঁর মা মন্দিরা নন্দী জানান যে এতটা ভাল ফল হবে তিনি তা আশা করেননি।
আরও পড়ুন:- নববর্ষের আগে দুর্দান্ত উপহার দিল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ! দেখলে চমকে যাবেন আপনিও
কঠিন অধ্যাবসায় দিয়ে সাগ্নিকের এই জয়েন্টের সাফল্য পুরো বাঁকুড়াতে এনেছে আনন্দের জোয়ার। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র ও সাগ্নিক নন্দীর বাবা-মা ছাড়াও পাড়া-প্রতিবেশীরা পর্যন্ত এই খুশির ভাগ নিতে দেখা করতে আসেন সাগ্নিকের সঙ্গে। অধ্যাবসায়ের সঙ্গে কনসেপ্ট ক্লিয়ার রেখে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করে এক প্রকার সাফল্য ছিনিয়ে এনেছে বাঁকুড়ার সাগ্নিক।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী