এইচপিএল মারফত জানা যায়, প্রায় এক বছর আগে, নভেম্বরে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস ও আমেরিকার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এইচপিএলের এই কারখানা চালু হলে এইচপিএলের উৎপাদন ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যাবে। এই নতুন প্ল্যান্টে তৈরি হবে ফেনল ও অ্যাসিটোন। পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পের অনুসারী শিল্পে ব্যবহৃত হয় ফেনোল ও অ্যাসিটোন। বিশেষ করে প্লাস্টিক, রেজিন, অ্যাডেসিভ, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে ফেনল এবং অ্যাসিটোনের ব্যবহার হয়। ভারত জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে ফেনোল ও অ্যাসিটোনের চাহিদা। মূলত ভারতের বাজারে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় ফেনল ও অ্যাসিটোন। হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালস এই কারখানার উৎপাদন শুরু হলে ফেনোল ও অ্যাসিটোন বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্ভোগের দিন শেষ! এবার ১৬ নং জাতীয় সড়কে হাওড়ার রানিহাটিতে যা পদক্ষেপ নিল, খুশি সাধারণ মানুষ
পেট্রোকেমিক্যালস এক প্রেস বিবৃত্তিতে জানিয়েছে, এই কারখানায় ফেনল উৎপাদন হবে ৩৪৫ কিল টন প্রতি বছর ও অ্যাসিটোন উৎপাদিত হবে ২১৫ কিলো টন প্রতি বছর। আগে এই কারখানায় ফেনল উৎপাদন হত ৩০০ কিলো টন প্রতি বছর অর্থাৎ সম্প্রসারণের ফলে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। কারখানায় এসেছে পাঁচটি দানব আকৃতির অক্সিডাইজার। এই অক্সিডাইজার নামে যন্ত্রগুলির এক একটি ৩৩ মিটার লম্বা, ৮ মিটার চওড়া। এর যন্ত্রগুলি শোয়ানো অবস্থায় প্রায় সাড়ে আট মিটার লম্বা। এক একটির ওজন ৩৪৭ মেট্রিক টন। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে ২০২৬ সাল থেকেই ফেনল ও অ্যাসিটোন উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। নতুন করে এই প্ল্যান্ট শুরু হওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে জানা যায়। যদিও তা কতটা সে বিষয়ে স্পষ্ট জানায়নি কর্তৃপক্ষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নবনিত নারায়ণ বলেন, “পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাইজেশনের মত ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতি হবে। এর ফলে নিম্ন প্রবাহের রাসায়নিক শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।” তিনি আরও জানান, প্রশাসনের সহযোগিতায় হলদিয়া বন্দর থেকে দানব আকৃতির অক্সিডাইজারগুলো কারখানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে রাস্তায় সাধারণ মানুষের কিছুটা অসুবিধা হয়েছে। সবমিলিয়ে হলদিয়ায় ভারতবর্ষের প্রথম অন-পারপাস প্রোপিলিন প্ল্যান্ট আগামী দিনে হলদিয়ার শিল্প মানচিত্রের রূপরেখা বদলে দেবে বলে মনে করছে শিল্প মহলের কর্তারা।