আগামীদিনের জন্য এই IT সংস্থার তরফে একটি ২৫×২৫ মডেলের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা ২০২৫ এর মধ্যে বাস্তবায়ন করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। এই মডেল অনুযায়ী ২০২৫ এর মধ্যে সংস্থার ২৫ শতাংশ কর্মচারীকে অফিসে এসে কাজ করতে হবে এবং একাধিক সুযোগ সুবিধা তার জন্য থাকবে।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া কি আরও পিছিয়ে যাচ্ছে? যা আশঙ্কা কমিশন কর্তাদের...
advertisement
এবিষয়ে TCS-এর CEO রাজেশ গোপীনাথন জানিয়েছেন, TCS-এর কাছে সময় আছে এই মডেল নিয়ে আরও আলোচনা করার। এই মডেল অফিসে এসে কাজ করাকে অনেকটাই স্মুদ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকমাস পর ওয়ার্ক ফ্রম অফিস চালু করেছে Wipro, Nasscom, HCL Technology ও Infosys-এর মতো সংস্থা।
কী এই ২৫*২৫ মডেল?
২০২৫ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর্মচারীকে আউট অফ ফেসিলিটি কাজ করতে হবে। কর্মচারীদের অফিসে ২৫ শতাংশের বেশি সময় থাকতে হবে না। যার ফলে সন্তানের মায়েরা বা যাঁরা বাড়িতে বয়স্কদের দেখভাল করছেন, তাঁদের সুবিধে হতে পারে। এছাড়াও যাঁরা টায়ার ওয়ান ও টায়ার টু সিটিতে থাকে তাদের জন্য রিমোট ওয়ার্কিংয়ের ফেসিলিটি দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে অফিসার পদে প্রচুর নিয়োগ! যে কোনও শাখায় স্নাতক হলে আজই আবেদন করুন...
এ বিষয়ে রাজেশ গোপীনাথন আরও বলেন, ২০২৫ এর মধ্যে ২৫ শতাংশ কর্মচারীই অফিসে এসে কাজ করবেন এবং তাঁদের নিজেদের সময়ের ২৫ শতাংশ অফিসে দিতে হবে। এই নিয়ে আমাদের কাস্টমারদের কোনও সমস্যা নেই। তারা চায়, আমরা যেন অন্যদের তুলনায় বেশি কাজ দিতে পারি। এই মডেলের মাধ্যমে কোম্পানি চাইছে, ২০২৫ এর মধ্যে ১.১২ লাখ কর্মচারীকে অফিসে এনে কাজ করাতে।
TCS-এর এই মডেল অনুসরণ করেন, অনেক IT কোম্পানিই হয়তো পরে এই ভাবে কাজ করা শুরু করবে। এতে কস্ট সেভ হবে (ইনফ্রাস্ট্রাকচরের খরচা) এবং কাজ বেশি হবে। কাজের পরিমাণ, প্রোডাক্টিভিটির পরিমাণ বাড়ানো এবং ওয়ার্ক লাইফ ব্যালেন্স করার লক্ষ্যেই কোম্পানি এই মডেলে কাজ করবে।
চলতি মাসের শুরুতে Wipro চেয়ারম্যান রিষাদ প্রেমজি ঘোষণা করেছিলেন, দীর্ঘ ১৮ মাস ওয়ার্ক ফ্রম হোমের পর সংস্থা ওয়ার্ক ফ্রম অফিস চালু করছে (সপ্তাহে ২ দিন)। জানানো হয়েছিল, প্রত্যেকে করোনার টিকা নেওয়া এবং সুরক্ষিত। তিনি একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন, কীভাবে তাঁর সংস্থার করোনার বিধিনিষেধ মেনে এই পদক্ষেপ করেছে।