এবছর মোট ৩২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয় এবং ১,৪২,৬৯৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৯৯,৫,৭৪ জন ছাত্র এবং ৪৩,১২০ জন ছাত্রী ছিলেন। এবারে আন্দামান থেকে ১২, দমনের ৬, জম্মুর ৩৮ জন শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া মিজোরাম থেকে বহু ছাত্রী ছাত্র যোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১,১২,৯৬৩ পড়ুয়া সফল হন। বোর্ড জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব কাউন্সেলিং শুরু হবে। তিনটি পদ্ধতিতে কাউন্সেলিং হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট খবর! নিজের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ না মিলতেই বড় দাবি প্রশান্ত কিশোরের! তোলপাড় পড়ল দেশে
কৃষ্ণনগরের বিভাসন বিশ্বাস এবছর তৃতীয় স্থান অধিকার করে রাজ্য স্তরের জয়েন্টের প্রবেশিকা পরীক্ষায়। তার প্রাপ্ত নম্বর ১৭২.৯১ । কৃষ্ণনগর বিশপ মোরো স্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে সে জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। অবশেষে আজ তারই সাফল্য মিলল হাতে। স্বাভাবিকভাবেই তার এই সাফল্যে খুশি তার পরিবারসহ স্কুলের শিক্ষক
শিক্ষিকারাও।
কৃষ্ণনগর বিশপ মোরো স্কুলের শিক্ষিকা ইন্দিরা সরকার জানান, “ভীষণই ভাললাগছে। ছাত্র হিসেবে অত্যন্ত ভালো বিভাসন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রত্যেকেই ওকে খুবই ভালোবাসে। ও নিজেও সকলকে স্নেহ করে। শান্তশিষ্ট চুপচাপ মুখে সবসময় লেগে থাকত সবসময় হাসি।” এছাড়াও তিনি জানান, “ও নিজে যে বিজ্ঞান বিষয়ে ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও এ বছর স্কুলের এক্সিবিশনে ও ভূগোল বিভাগের এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ নিয়েছিল। তার কারণ ও একটা বার্তা দিতে চেয়েছিল যে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিভাগে গেলেই সেই পড়ুয়ারা ভালো হবে তা নয়, কলা বিভাগ কিংবা বাণিজ্যিক বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করলেও তারও মান সমতুল্য।”
তার এই সাফল্যে খুশি পরিবারসহ সকলেই। এরপর তার ইচ্ছে রয়েছে, বোম্বে আইআইটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার। আপাতত বিভাসনের এই সাফল্যে গর্বিত কৃষ্ণনগরসহ গোটা নদিয়াবাসী।
—- Mainak Debnath