কিন্তু এত কঠিন পরীক্ষায় কীভাবে ১০০ তে ১০০ পেলেন বিশ্বজিৎ? চেন্নাইয়ের পড়ুয়ার কথায় পরিকল্পনা মাফিক পড়াশুনা এবং কঠোর পরিশ্রমই তাঁর এই সাফল্যের চাবিকাঠি৷ ‘‘পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় আমি সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করেছি এবং বিষয়গুলিকে বারবার রিভাইজ করেছি। আমি অলিম্পিয়াড পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ফলে জেইই মেইন ক্র্যাক করা আমার পক্ষে এতটা কঠিন ছিল না। সঙ্গে আমি স্কুলেও অনেকবার মক টেস্ট দিয়েছি’’ জানালেন নারায়ণা অলিম্পিয়াড স্কুলের ক্লাস ১২-এর ছাত্র এনকে বিশ্বজিৎ৷
advertisement
আরও পড়ুন : NEET PG- পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করুন এখনই, হাতে সময় খুবই কম
তামিলনাড়ুর মেধাবী এই ছাত্র ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করতে চান, সঙ্গে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান প্রযুক্তিবিদ্যাকে৷ তাঁর কথায় ‘‘ বরাবরই আমার প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা৷ তাই পদার্থবিজ্ঞানে নিজের অবদান রাখতে চাই৷ কোনও বড় সমীকরণ দেখলেই মনে হয় এখনই তাঁর সমাধান করি৷’’
তামিলনাড়ুর এন কুমারন এবং হেমামালিনি কুমারনের একমাত্র পুত্র বিশ্বজিৎ, দুজনেই ম্যানেজমেন্ট প্রফেসনাল৷ বিশ্বজিতের কথায় তাঁর সাফল্যের এক বড় কৃতিত্ব তাঁর মা বাবারও৷ সন্তানের জন্য বাড়িতে পড়াশুনোর খুব সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন তাঁরা৷ লেখাপড়ায় তাই সাফল্যের সেরা নিদর্শন রেখেছে বিশ্বজিৎ৷ দশম শ্রেনিতেও ৮০ শতাংশ পেয়ে ন্যাশানাল ইন্সিটিউট অফ ওপেনিং স্কুলিং (NIOS) থেকে পাস করেন তিনি৷ ভবিষ্যতে IIT বোম্বে কিংবা IIT ম্যাড্রাসে পড়াশুনো করতে চান বিশ্বজিৎ৷
কিন্তু একদিকে জেইই মেইন, জেইই অ্যাডভান্সড এবং অন্যদিকে বোর্ড পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যে কীভাবে ভারসাম্য রেখেছিলেন বিশ্বজিৎ? মেধাবী এই ছাত্রের কথায় স্কুলের দেওয়া সিডিউল তাঁকে বেশ সাহায্য করেছে৷ সঙ্গে বারবার রিভিসন দেওয়ার লক্ষ্যে সময়ের অনেক আগেই বিষয়গুলির পড়া শেষ করে ফেলেন তিনি৷ পড়াশুনার বাইরে ছবি আঁকতে ভালবাসেন JEE main-এর তামিলনাড়ুর টপার৷