বিগত ২৬ বছর ধরে এই যুব সংসদ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্কুল পড়ুয়াদের নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেওয়া, পরিচালনা করার ক্ষমতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠান করা হয়। এছাড়াও এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার আরও একটি কারণ হল দেশের গণতন্ত্র সংসদীয় রাজনীতি ও ব্যবস্থা সম্পর্কে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দু’দিন আগেই দিল্লিতে চলে এসেছিলেন অধ্যক্ষ মৌসুমী নাগ-সহ আরও চারজন শিক্ষক।
advertisement
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্য করে খোলা স্কুল, নেওয়া হল পরীক্ষা! পটাশপুরে বিরাট শোরগোল
এছাড়াও একজন কর্মীকে আনা হয় পড়ুয়াদের দেখাশোনার জন্য। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এই যুব সংসদ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পুরস্কার পেয়ে গর্বিত অধ্যক্ষ মৌসুমী নাগ। তিনি বলেন, ” সারা দেশের মধ্যে এই পুরস্কার পাওয়ায় আমরা গর্বিত। স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে সংসদ, দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে ধারণা তৈরি হয় ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। আগামী দিনে নেতৃত্ব দেওয়া, সিদ্ধান্ত নেওয়া, পরিচালনা করার ক্ষমতা বাড়বে পড়ুয়াদের।”
আরও পড়ুন: ড্রাগের নেশা থেকে ত্রিপুরাকে মুক্ত করতে বিরাট পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর, বড় দায়িত্ব দিলেন এনএসএস-কে
সর্বভারতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি যে সমস্ত স্কুল তাদের অঞ্চলে প্রথম হয়েছে, সেখানকার পড়ুয়াদেরও প্রতিভা ও দক্ষতার বিচারে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আগে গত বর্ষসেরা সাংসদের সম্মান পান তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। এছাড়াও বর্ষসেরা সাংসদের পুরস্কার পান রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিজেডির ভর্তহরি মেহতাব, মিমের আসাউদ্দিন ওয়েসি, এনসিপির বন্দনা চৌহ্বান, বিজেপির তেজস্বী সূর্য ও লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং আরজেডির মনোজ ঝা। সাংসদদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে একটি আলোচনা সভাও হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। ২০২০ এবং ২০২১ সালে সাংসদদের সার্বিক পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে এই সম্মান ও পুরস্কার দেওয়া হয়।
রাজীব চক্রবর্তী