সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে ইউজিসি-র একটি প্রতিনিধি দল। প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মানা হয়েছে কিনা তা পরিদর্শনে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ওই দল। র্যাগিং প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকায় মোটেই খুশি নয় ইজিসি।
অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির গঠন এবং ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।এই ঘটনার জেরে পুরনো অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির একাধিক সদস্যকে বাদ দেওয়া হল। পাশাপাশি অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠনের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হল র্যাগিং নিয়ে পুলিশে অভিযোগ হলে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের ওপর শাস্তি আরও বাড়বে।
advertisement
সেইসঙ্গে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়ার্ডকে আরও তৎপর হওয়া নির্দেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। হঠাৎ হঠাৎ পরিদর্শন করতে হবে হোস্টেল। আন্টি র্যাগিং স্কোর্ডের সদস্যদের মোবাইল ফোন সব সময় খোলা থাকবে, তাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। রাতেও স্কোয়ার্ডের টিমকে পরিদর্শন করতে হবে। র্যাগিং রুখতে এমনই সব সিদ্ধান্তের উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়।
আরও পড়ুন: বাঙালির গর্বের দিন, ভাটনগর পুরস্কার প্রাপ্তি ৪ বাঙালি বিজ্ঞানীর! কোভিড গবেষককে শুভেচ্ছা মমতার
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও নতুন বর্ষের ছাত্র ভর্তির সময় বা ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় বা হস্টেলে র্যাগিংয়ের সম্মুখীন হলে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাঁদের সেই বছর পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ অভিযুক্ত পড়ুয়ার ওই অ্যাকাডেমিক বছরটি নষ্ট হবে।