ঈশিতা জানায় টিউশনি ছিল, তার পাশাপাশি বাড়িতে ৬ ঘন্টা পড়শোনা করত সে। পড়াশানার পাশাপাশি ছবি আঁকা ও ব্যাডমিন্টন খেলায় সিদ্ধহস্ত ছিল সে। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর এ দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাও মৌসুমী সেনগুপ্ত জানান, তিনিও খুব খুশি হয়েছেন ছাত্রীর ফলে। স্কুলের নামকে উজ্জল করায় খুশি জেলাবাসীও। ঈশিতা থাকে কেটিপিপি বি-টাইপ আবাসনে। বাবা চন্দন সামন্ত কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত। আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বিষ্ণুপুর ব্লকের পাথরবেড়িয়া গ্রামে। ২০১৮ সাল থেকে কোলাঘাটে আসেন। সব মিলিয়ে ঈশিতার রেজাল্টে খুশি পরিবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বড় হয়ে চিকিৎসক হতে চায় ঈশিতা।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্ধুরা মজা করে বলত শিক্ষামন্ত্রী, মাধ্যমিকে অষ্টম বাঁকুড়ার ব্রাত্য বসু
এ বারের মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ২ জন। বাঁকুড়ার রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুলের অর্ণব ঘড়াই। আর বর্ধমান সিএমএস স্কুলের রৌণক মণ্ডল। দু’জনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। ৬৯২ নম্বর পেয়ে যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছেন মালদহের কৌশিকী সরকার এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের রৌনক মণ্ডল। ৬৯১ নম্বর পেয়ে যুগ্ম তৃতীয় হয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের অনন্যা দাশগুপ্ত এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দেবশিখা প্রধান।
আরও পড়ুন: আজ ফের কাঁপিয়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জেলায় জেলায়, কবে বাংলায় ঢুকছে বর্ষা? জানুন...
২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ১১,২৭,৮০০ পরীক্ষার্থী। ১০,৯৮৭৭৫ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। ৯,৪৯,৯২৭ জন পাস করেছে। পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ১১ জনের। এ বারে পাশের হার ৮৬.৬০ শতাংশ। এ বারেও সাফল্যের শীর্ষে পূর্ব মেদিনীপুর, পাশের হার ৯৭.৬৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে কালিম্পং। তৃতীয় স্থানে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং চতুর্থ স্থানে কলকাতা। কলকাতায় পাশের হার ৯৪.৩৬ শতাংশ।
Saikat shee