জুলিয়ান ডে স্কুল গঙ্গানগরের এই ছাত্র পলিটিকাল সায়েন্স, জিওগ্রাফি ও সোসিওলজিতে পেয়েছেন ১০০ নম্বর, ইতিহাস ও ইংরেজিতে পেয়েছেন ৯৯। বেস্ট অফ ফোরে অনীশের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৭৫ শতাংশ বলেই জানা গিয়েছে। ফল প্রকাশের আগে ৯৮ শতাংশের আশায় থাকলেও, নিজের এমন ফলাফল দেখে নিজেই কিছুটা অবাক হয়েছেন অনীশ বলেও জানান।
আরও পড়ুন: বাংলার একই স্কুল থেকে ISC-ICSE-তে জোড়া সম্ভাব্য প্রথম, সফল ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর
advertisement
তাঁর এই কৃতিত্বের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মা-বাবার পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বলেই মানছেন এই কৃতী ছাত্র। বাবা অভিজিৎ কুশারী ও মা নিবেদিতা কুশারী কোনও কিছুতেই বাধা দেননি ছেলেকে। সবসময় পাশে থেকেছেন অনীশের। সফল এই ছাত্র জানান, বাবা-মা শিক্ষক শিক্ষিকারা সকলেই সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন। কোনও কিছুতেই কখনও বাধা দেয়নি পরিবার। ভবিষ্যতে ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি করতে চায় অনীশ। স্বপ্ন, একদিন অধ্যাপক হয়ে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখার।
আরও পড়ুন: ৭ দিনে ৭ বার ফ্ল্যাগ মিটিং! ‘একটি’ কারণ দেখিয়ে ভারতীয় জওয়ানকে আটকে রাখছে পাকিস্তান, কী জানেন?
পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল দেখতেও খুব ভালবাসে এই কৃতী ছাত্র। বন্ধুদের সঙ্গে টুকটাক খেলাধুলোও করে, তবে খেলা দেখাই তার বেশি পছন্দের। ছেলের এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মা-বাবাও। মা জানান, ও যেদিকে এগোতে চায়, আমরা সবসময় তাতে পাশে থাকব। বাবা বলেন, ছোটবেলা থেকেই ওর ইচ্ছেগুলোকে গুরুত্ব দিয়েছি, সেভাবেই ওকে বড় করেছি। অনীশের এই সাফল্যে খুশি পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও। অনীশকে নিয়ে তাই গর্বিত সকলে।
মধ্যমগ্রামের এই কৃতী ছাত্রের সাফল্যের পর, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছাপত্র নিয়ে এদিন তার বাড়িতে আসেন মধ্যমগ্রামের বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তিনি জানান সম্ভাব্য এক থেকে দশের তালিকায় রয়েছে এই কৃতী ছাত্রের নাম। তার এই সাফল্যে সকলেই খুশি এবং আগামী দিনে তাকে সংবর্ধনা জানানো হবে বলেও জানান মন্ত্রী। আগামী দিনে মধ্যমগ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে সে বলেও আশাবাদী বিধায়ক রথীন ঘোষ।
Rudra Narayan Roy