দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হন উমেশ৷ সেখান থেকেই শুরু তাঁর সাফল্য যাত্রার৷ ক্লাস টুয়েলভে তিনি ফেল করেন ইংরেজি বিষয়ে৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি ইংরেজিতে ফেল করে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম৷ সিন্নারে আবাসিক স্কুল ছেড়ে দিই আমি৷ বাড়িতে ফিরে এসে বাবার সঙ্গে যোগ দিই পারিবারিক ব্যবসায়৷ রোজ গ্রাম থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করে বিক্রি করতে যেতাম নাসিকের দুধবাজারে৷’’
advertisement
মাহিরাবনি গ্রাম থেকে নাসিক যাওয়ার পথ ছিল যশবন্তরাও চহ্বন মহারাষ্ট্র ওপেন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে৷ ওই মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দিয়ে যাতায়াত করার সময়ই ঘুরে যায় উমেশের চিন্তাভাবনার মোড়৷ তিনি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কথা ভাবেন৷ সেটাই তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট৷
টুয়েলফথ ফেল হয়েও উচ্চশিক্ষার পথ খুলে যায় উমেশের সামনে৷ তিনি হর্টিকালচারে বিএসসি পড়তে শুরু করেন৷ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর ভর্তি হন নাসিকের কেটিএইচএম কলেজে৷ যে ইংরেজিতে ফেল করেছিলেন, সেই বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন৷ পড়াশোনার পুরো পর্বই তিনি বাবার সঙ্গে পারিবারিক ব্যবসাতেও শামিল হয়েছিলেন৷ দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন স্নাতকোত্তরের পর৷
আরও পড়ুন : প্রেমে বাধা হয়নি বেড়াজাল, রাশিদের ছন্দের দোসর স্ত্রী জয়িতাই, তাঁদের আনন্দ মুহূর্ত এখন স্মৃতির জলছবি
বাবার সাহায্য নিয়েই উমেশ গ্রাম ছেড়ে নয়াদিল্লি চলে আসেন৷ ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত রাজধানীই ছিল তাঁর ঠিকানা৷ ওই সময়পর্বে দু’বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ তৃতীয় প্রচেষ্টায় সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় তিনি ৭০ তম স্থান পান৷ বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার৷
নিজের উদাহরণ দিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করতে চান উমেশ৷ বোঝাতে চান, স্কুলের কোনও পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়া মানেই থেমে যাওয়া নয়৷ জীবনের পথ চলা এখনও বাকি থেকে যায়৷ চম্বলের মনোজ শর্মা থেকে পশ্চিমঘাট পাহাড়ের উমেশ খণ্ডবহালে-শিখিয়ে চলেছেন স্বপ্ন সফল করার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে ইচ্ছে আর উদ্যোগের ‘রিস্টার্ট’-এই৷