TRENDING:

Success Story: দ্বাদশের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে পড়ায় সাময়িক ইতি! দুধ বিক্রির সঙ্গে লেখাপড়া করেই আইপিএস হন এই '12th Fail'

Last Updated:

Success Story: দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হন উমেশ৷ সেখান থেকেই শুরু তাঁর সাফল্য যাত্রার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দ্বাদশে অনুত্তীর্ণ হয়েও লেখা যায় জীবনে সাফল্যের চিত্রনাট্য। ‘টুয়েলফথ ফেল’ ছবির মতো অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চলার পথের বাঁকে বাঁকে। সেরকমই এক নজির উজ্জ্বল হয়ে আছে পশ্চিমঘাট পর্বতের নীচে ত্র্যম্বকেশ্বরের কাছে মাহিরাবনি গ্রামে। দেশের আর পাঁচটা গ্রামের সঙ্গে সাধারণত্বে কোনও পার্থক্য নেই। এই গ্রামেই গবাদি পশু পালন করে অন্নসংস্থান করেন গণপত খণ্ডবহালে। তিনি এই গ্রামের দুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। এখন আইপিএস অফিসারের গর্বিত বাবা। তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না তাঁর ছেলে দেশের ব্যস্ত আমলা। তাঁর ছেলে উমেশ এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে যোগ দিয়েছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়।
দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হন উমেশ
দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হন উমেশ
advertisement

দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হন উমেশ৷ সেখান থেকেই শুরু তাঁর সাফল্য যাত্রার৷ ক্লাস টুয়েলভে তিনি ফেল করেন ইংরেজি বিষয়ে৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি ইংরেজিতে ফেল করে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম৷ সিন্নারে আবাসিক স্কুল ছেড়ে দিই আমি৷ বাড়িতে ফিরে এসে বাবার সঙ্গে যোগ দিই পারিবারিক ব্যবসায়৷ রোজ গ্রাম থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করে বিক্রি করতে যেতাম নাসিকের দুধবাজারে৷’’

advertisement

মাহিরাবনি গ্রাম থেকে নাসিক যাওয়ার পথ ছিল যশবন্তরাও চহ্বন মহারাষ্ট্র ওপেন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে৷ ওই মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দিয়ে যাতায়াত করার সময়ই ঘুরে যায় উমেশের চিন্তাভাবনার মোড়৷ তিনি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কথা ভাবেন৷ সেটাই তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট৷

টুয়েলফথ ফেল হয়েও উচ্চশিক্ষার পথ খুলে যায় উমেশের সামনে৷ তিনি হর্টিকালচারে বিএসসি পড়তে শুরু করেন৷ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর ভর্তি হন নাসিকের কেটিএইচএম কলেজে৷ যে ইংরেজিতে ফেল করেছিলেন, সেই বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন৷ পড়াশোনার পুরো পর্বই তিনি বাবার সঙ্গে পারিবারিক ব্যবসাতেও শামিল হয়েছিলেন৷ দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন স্নাতকোত্তরের পর৷

advertisement

আরও পড়ুন : প্রেমে বাধা হয়নি বেড়াজাল, রাশিদের ছন্দের দোসর স্ত্রী জয়িতাই, তাঁদের আনন্দ মুহূর্ত এখন স্মৃতির জলছবি

বাবার সাহায্য নিয়েই উমেশ গ্রাম ছেড়ে নয়াদিল্লি চলে আসেন৷ ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত রাজধানীই ছিল তাঁর ঠিকানা৷ ওই সময়পর্বে দু’বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ তৃতীয় প্রচেষ্টায় সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় তিনি ৭০ তম স্থান পান৷ বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার৷

advertisement

নিজের উদাহরণ দিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করতে চান উমেশ৷ বোঝাতে চান, স্কুলের কোনও পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়া মানেই থেমে যাওয়া নয়৷ জীবনের পথ চলা এখনও বাকি থেকে যায়৷ চম্বলের মনোজ শর্মা থেকে পশ্চিমঘাট পাহাড়ের উমেশ খণ্ডবহালে-শিখিয়ে চলেছেন স্বপ্ন সফল করার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে ইচ্ছে আর উদ্যোগের ‘রিস্টার্ট’-এই৷

বাংলা খবর/ খবর/শিক্ষা/
Success Story: দ্বাদশের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে পড়ায় সাময়িক ইতি! দুধ বিক্রির সঙ্গে লেখাপড়া করেই আইপিএস হন এই '12th Fail'
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল