রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ুন কবির বলেন, সিস্টেমের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ৬৮,০০০ যুবক-যুবতীকে কর্মসংস্থান দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। চলতি সপ্তাহে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন মন্ত্রী বলেন, পলিটেকনিক এবং আইটিআই ছাত্রদের কর্মসংস্থান দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের জন্য প্লেসমেন্ট সেল খোলা হয়েছে। বিভাগ দ্বারা কেন্দ্রীয়ভাবে একটি প্লেসমেন্ট সেলও খোলা হচ্ছে, যা খালি পদের বিষয়ে বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবে।'
advertisement
আরও পড়ুন: দোলের আগে কি রাজ্যে ফের বদলে যাবে আবহাওয়া? রইল হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস...
বিভাগ নিয়োগকারী সংস্থাগুলির প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষা কোর্সের সিলেবাসে পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক। মন্ত্রী আরও জানান, আমাদের মূল লক্ষ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় কারিগরি শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। মোট ২০৬টি কারিগরি বিষয় উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বড় কোম্পানির পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও বাণিজ্য সংগঠনগুলোকেও এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাহাড়-জঙ্গল-চা বাগান-নদী, 'অফবিট' উত্তরবঙ্গকে চেনাবে বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল
নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদি কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যদিও কোম্পানিগুলি তাদের নিজস্ব প্রশিক্ষণ প্রদান করবে, খরচ রাজ্য সরকার বহন করবে। মন্ত্রী বলেন, 'প্রশিক্ষণের খরচ, তখনই দেওয়া হবে যখন কর্মসংস্থান হবে।' ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় এ বিষয়ে ক্যাম্প করা হয়েছে। এ ছাড়া অনলাইনেও এই বিষয়ে তথ্য দেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে। আগামী দিনে ডেউচা পাচামির মতো কয়লা উত্তোলনের স্থান বা তাজপুর বন্দরের কাজে বহু প্রশিক্ষিত যুবক-যুবতী প্রয়োজন। তখন এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সুবিধা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ABIR GHOSHAL