সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমাতেই এবছর প্রায় সাত হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী বসেছে এই পরীক্ষায়। নতুন পরীক্ষা পদ্ধতিতে ৪০ নম্বরের এমসিকিউ ও সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। ফলে উচ্চ মাধ্যমিকের ধরন অনেকটাই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মতো হয়ে উঠেছে। শিক্ষকদের মতে, এই পরিবর্তন ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনে যথেষ্ট সহায়ক হবে। শুধু মুখস্থ নয়, চিন্তাশক্তি ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা যাচাই করার সুযোগ বাড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দেখি অ্যাডমিটটা’, গর্ভবতী SSC পরীক্ষার্থীর চিন্তা দূর করতে পুলিশ যা করল, জানলে গর্ব হবে!
তবে প্রথম দিন, বাংলা পরীক্ষার দিনেই এক ব্যতিক্রমী দৃশ্যের সাক্ষী থাকল কালনা মহকুমা। নাদনঘাটের অন্নপূর্ণা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হঠাৎই পরীক্ষাকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শ্বাসকষ্ট ও প্রবল অস্বস্তির কারণে তাকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অর্থ হল পরীক্ষার সুযোগ হারানো, কিন্তু এবারে ঘটল অন্যরকম ঘটনা। পর্ষদের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে সাবিনা হাসপাতালের বেডেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পায়। পরীক্ষার খাতা পৌঁছে দেওয়া হয় তার কাছে।
হাসপাতালে বসেই সে পুরো পরীক্ষা দেয়। অন্যদিকে, কালনা শহরের মহারাজা উচ্চ বিদ্যালয়, অম্বিকা স্কুল এবং কালনা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র তুলনামূলক সহজ ছিল, তবে নতুন ধরনে অভ্যস্ত না হওয়ায় আরও কিছু সময় পেলে হয়তো আরও ভাল ফল করা যেত। তবুও, নতুন পদ্ধতিই তাঁদের আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে বলে মতামত দিয়েছেন অনেকে। পরীক্ষার প্রথম দিনেই একদিকে যেমন সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা সম্পন্ন হল, অন্যদিকে সাবিনা ইয়াসমিনের ঘটনায় উঠে এল এক অনন্য ছবি! অসুস্থতার কাছে হার মানেনি পড়াশোনার জেদ।