গর্ভবতী অবস্থায় তাঁর প্রথম দুটি পরীক্ষা তিনি দিয়েছিলেন। গতকাল রাতে হঠাৎ প্রসব যন্ত্রণা হয়। তারপর পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। রাতেই তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। বুধবার ছিল এডুকেশন পরীক্ষা। সদ্যোজাতকে কোলে নিয়েই সে হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক সমস্যার কারণে সে বুধবার পরীক্ষা দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: রাস্তা-ঘাটে-বনে-বাদাড়ে অতি পরিচিত এই শাক মারণরোগ সারাতে অব্যর্থ, গুণাগুণ জানলে রোজ খেতে চাইবেন!
তবে আগামী যে পরীক্ষাগুলি বাকি রয়েছে সেগুলি দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইয়াসমিনা গাজী। বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছর আগে জয়নগর থানা এলাকার হাচিমপুর গ্রামে একই এলাকাতে ইয়ামিনা গাজীর বিবাহ হয় বিয়ের পরেও পড়াশোনা চালিয়ে যায় যাচ্ছিল সে।
আরও পড়ুন: কিছু নিয়ে টেনশন হলেই মলত্যাগের বেগ আসে? আপনি এক ভয়ঙ্কর রোগের রোগী হতে পারেন! জানুন
সেই মতো এবছর তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন। প্রথম দুটি পরীক্ষা সে ঠিকঠাক দেয় কিন্তু আজ সে সন্তানের জন্ম দেওয়াতে পরীক্ষা দিতে পারল না। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জীবনে সুস্থ থাকলে আবার সে পরীক্ষায় বসতে পারবে। এবং যে কটি পরীক্ষা বাকি আছে সেই পরীক্ষাগুলি যাতে দিতে পারে তার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে আবেদন জানিয়েছেন।
সুমন সাহা






