এ বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন:
১. শুধুমাত্র সাধারণ বা গতের পড়াশোনা করলেই চলবে না। একেবারে নিয়ম করে পাঠ্য বইয়ের পুরনো অধ্যায়গুলি ভালো করে ভালো করে পড়ে বার বার ঝালিয়ে নিতে হবে। কারণ নোটের পাশাপাশি পাঠ্য বইয়ের কোনও বিকল্প নেই। তাই পুরনো অধ্যায়গুলি ভালো করে বার বার খুঁটিয়ে পড়তে হবে। পাঠ্য বইয়ের কোনও অধ্যায়ের বিষয় বুঝতে অসুবিধা হলে তড়িঘড়ি তা শিক্ষকের কাছে জেনে নিতে হবে। তারপর ওইগুলো বারবার অনুশীলন করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: সামনেই মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক, পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে মানতেই হবে 'এই' নিয়ম...
২. পড়ার সময় অবশ্যই ছাত্র-ছাত্রীদের ঘড়ির সময় ধরে পড়াশোনা করতে হবে। এমনকী পড়াশোনার সময়য়ও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সকাল, বিকাল কিংবা সন্ধ্যা কোন সময়ে পড়লে ভালো হয় তা দ্রুত নির্বাচন করে নিতে হবে।
৩. শুধুমাত্র মন দিয়ে পড়লেই চলবে না। পাশাপাশি শরীরের যত্নও নিতে হবে। এর জন্য বাইরের খাবার বিশেষ করে জাঙ্ক ফুড বাদ দিয়ে সাধারণ মানের পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি বাড়িতে বসেই পড়ার ফাঁকে প্রতিদিন সাধারণ ব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে শরীর মন দুই থাকবে চাঙ্গা। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমাতে হবে। ভালো ঘুম হলে পড়াশোনায় মনোযোগ বাড়বে পুরোমাত্রায়।
৪. পড়তে বসে পাঠ্য বইয়ের অধ্যায়গুলি ভালো করে পড়ে তা ছোট করে মানচিত্রের আকারে সাজিয়ে নিতে হবে। যাতে ওই বিষয়গুলি মাথায় সহজেই গেঁথে যায়। বড় প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁটিয়ে পড়ে তা থেকে ছোট করে পয়েন্ট করে নিতে হবে। ওই বিষয়গুলি নিয়ে শিক্ষক ও বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: কীভাবে স্ট্রেস কাটিয়ে বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফল করবেন পরীক্ষার্থীরা? রইল একগুচ্ছ টিপস!
৫. এ ছাড়াও সময়ের পাশাপাশি পড়াশোনা করার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও জায়গা দ্রুত ঠিক করে নিতে হবে। বার বার এক জায়গায় বসে না পড়ে স্থান পাল্টে পড়লে মন সংযোগ বৃদ্ধি পাবে বলেই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে স্মৃতি শক্তি প্রখর হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৬. একভাবে না পড়ে পড়ার ফাঁকে মাঝে মধ্যে বিরতি নিতে হবে। একটু-আধটু ঘুরে ফিরে ফের পড়তে বসার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক ঘণ্টা পড়ে ১০ মিনিট ঘুরে-ফিরে ফের পড়তে বসার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
৭. পরীক্ষায় লেখার আগে প্রশ্ন পত্র ভালো করে পড়ে নিতে হবে। কোন প্রশ্নের উত্তর কতটা লিখতে হবে তা দেখে নিতে হবে ওই প্রশ্নটির জন্য কত নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে তার ভিত্তিতে। পরীক্ষার প্রশ্নের নমুনা ধরে অনুশীলন করলে তা সহজেই আয়ত্ত করা যাবে।