সৌভিকের বাবা অশোক রায় লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন। বর্তমানে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ঠেলাগাড়িতে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। মা উমারানি রায় আয়ার কাজ করেন। পরিবারে অভাব-অনটন নিত্য সঙ্গী। কিন্তু তারমধ্যেই দারিদ্রতাকে হেলায় হারিয়ে সব বিষয়ে লেটার মার্কস নিয়ে ৪৬৫ নম্বর পেয়ে আশা জাগিয়েছে শৌভিক রায়। শ্রীরামপুর রাজ্যধরপুর সরকারি কলোনীতে এক চিলতে বাড়িতে বাবা, মা ও ভাইকে নিয়ে ছোট পরিবার। শ্রীরামপুর রাজ্যধরপুর নেতাজী হাই স্কুলের কৃতী ছাত্র সৌভিক উচ্চ মাধ্যমিক টেষ্ট পরীক্ষায় বিদ্যালয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।
advertisement
সৌভিক জানিয়েছে,” পরিবারে আর্থিক অভাব আছে। কিন্তু দু’জন গৃহশিক্ষক আমাকে ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিঞ্জান পড়িয়েছেন। এ’ছাড়া স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্কুলে নিয়মিত পড়িয়েছেন বলেই আমি সফল হয়েছি। আগামী দিনে শিক্ষকতা করার ইচ্ছে আছে। পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে চাকরির প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির জন্য নিজেকে এখন থেকেই প্রস্তুত করব। আমিই বাবা-মা,পরিবারের মূল ভরসা। পড়াশুনার ফাঁকে বাবাকে ঝালমুড়ি বিক্রিতে সাহায্য করি।”
রাহী হালদার