কাঁথির করকুলি এলাকার বাসিন্দা সায়ন্তনের বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক শিক্ষিকা। ছোট থেকেই মেধাবী সায়ন্তন। মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাতেও ভাল ফল করে তাক লাগালেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি তার ছবি আঁকা, গল্প লেখা ও গল্পের বই পড়তে ভাল লাগে। সব থেকে বেশি পছন্দ বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা। নিয়ম করে ১৫ থেকে ১৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করত সায়ন্তন। উচ্চ মাধ্যমিকের পড়াশোনার চাপে ছবি আঁকা বা গল্প লেখা জন্য সময় হত না।
advertisement
আরও পড়ুন: ১০টায় ঘুম থেকে উঠেও উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায়! চমকে দেওয়া ফল আলিপুরদুয়ারের অন্বেষার
সায়ন্তন জানান, বাড়িতে বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক হওয়ায় পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য পেয়েছে। এর পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষক এবং গৃহ শিক্ষকদের সহায়তায় ভাল ফল করেছে। আগামী দিনে তার লক্ষ্য ডাক্তারি পড়া। সেখান থেকেই নিউরোসায়েন্স নিয়ে গবেষণা করা। প্রসঙ্গত ছোট এই মেধাবী ছাত্রটির লক্ষ্য ছিল উচ্চ মাধ্যমিকে প্রস্তুতির জন্য দৈনিক ১৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করার। ভাল ফল আশা করেছিল, তবে এতটা ভাল হবে বলে ভাবতেই পারেনি।
সায়ন্তন ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায় স্থান লাভ করেছিল। সেবার ৬৮৭ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় সপ্তম স্থান লাভ করেছিল। এবার উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকায় সে ৪৯২ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে। সদ্য ১৮ বছরে পা দেওয়া মেধাবী সায়ন্তনের মনে প্রভাব ফেলেছে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গও।
সৈকত শী