শিক্ষক মৃন্ময় সাহা জানান, “ফিজিক্যাল কেমেস্ট্রির যে প্রবলেমগুলি থাকে সেখানে ইউনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, ইউনিটগুলি যথাযথ ভাবে মনে রাখা প্রয়োজন। ‘টু দ্য পয়েন্ট’ উত্তর লেখা ভাল পরীক্ষার খাতায়। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে লিখলে নম্বর পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই অকারণে বেশি লেখার প্রয়োজন নেই।’’
আরও পড়ুন: এ এক আজব কাকাতুয়া! ‘এই’ খাবার ছাড়া তার দিনই চলে না! সে কী খায় জানলে হাসিতে পেট ফেটে যাবে
advertisement
তিনি জানান, রসায়নে তিনটি বিভাগ রয়েছে: অজৈব রসায়ন (ইনঅরগ্যানিক), জৈব রসায়ন (অরগ্যানিক), ফিজিক্যাল। এর মধ্যে অরগ্যানিক বিভাগেই বেশি নম্বর থাকে। এই ক্ষেত্রে বিষয়গুলি যেহেতু মূলত এটি রিয়্যাকশন-নির্ভর। তাই রিয়্যাকশনগুলি ভাল করে মনে রাখা প্রয়োজন। পাশপাশি, ‘রিএজেন্টের ক্যাটেগরিও’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ভাবে এগুলির উত্তর লিখে আসা প্রয়োজন। এগুলি শেষ মুহূর্তে ভাল ভাবে বারবার দেখে নেওয়া দরকার ছাত্র-ছাত্রীদের।
তিনি আরও বলেন, “অরগ্যানিকের ক্ষেত্রে ‘কমপ্লিট ব্যালেন্স ইকুয়েশন’ লেখা দরকার পরীক্ষার খাতার মধ্যে। তাহলেই সম্পূর্ণ নম্বর পাওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। দু’টি কম্পাউন্ডের মধ্যে যখন পার্থক্য আসে। তখন রাসায়নিক ভাবে যে পার্থক্য সেটিই লেখা উচিত। ভৌত ভাবে পার্থক্য লিখলে নম্বর পাওয়ার সম্ভবনা কম যায় অনেকটাই।’’
তিনি জানান, শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কম্পাউন্ডের গঠন এবং ফর্মুলা লিখলেই নম্বর আসবে নিশ্চিত। কম্পাউন্ডের নাম লেখার প্রয়োজন নেই। তবে, রিএজেন্টের বিষয়গুলি দেখে নিতে হবে। যেহেতু এমসিকিউ-এর উত্তরগুলি খুব কাছাকাছি থাকে। তাই সেক্ষেত্রে উত্তর লেখার সময় সতর্ক ভাবে দেখে নিয়ে লেখাই ভাল।” এছাড়া, পরীক্ষার খাতায় মাথা ঠান্ডা রেখে জানা প্রশ্নের উত্তর আগে করা উচিত। এই বিষয়গুলি মেনে চললেই পরীক্ষার খাতায় ভাল নম্বর আসবে একেবারে নিশ্চিত।
Sarthak Pandit