কোনও রকম অশান্তি, প্রশ্ন পত্র ফাঁস হওয়া, টুকলির মতো বিষয় এড়াতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিশেষভাবে সতর্ক হয়েছে। জারি করা হয়েছে বেশ কয়েক দফা গাইডলাইন। যেগুলি মেনে চলতে হবে পরীক্ষার্থীদের। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে পরীক্ষা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকদেরও। তাছাড়াও পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সাংসদ।
প্রত্যেক বছরের মত এ বছরও জানানো হয়েছে, কোনও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মোবাইল বা কোনও রকম ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে পরীক্ষা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকদের। পাশাপাশি এই বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করার জন্য প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার সময় প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে এই বিষয়ে জানাতে হবে।
advertisement
প্রশ্নপত্র, ফাঁস হওয়া আটকাতে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে কাউন্সিলের তরফ থেকে প্রতিনিধিরা থাকবেন। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে চালাতে হবে কড়া নজরদারি। যার দায়িত্ব থাকবে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষকদের এবং ভেনু সুপারভাইজারদের ওপর। কোনও পরীক্ষার্থী, ভেন্যু সুপারভাইজার, বা পর্যবেক্ষক অর্থাৎ শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে কেন্দ্রের বাইরে বেরোতে পারবেন না।
প্রত্যেকটি কেন্দ্রে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশের নিরাপত্তা। কড়া নজরদারি চালানোর পাশাপাশি যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা নজর দেবেন। পরীক্ষার সময় বিশৃঙ্খলা এড়াতে ভেনু সুপারভাইজাররাও চালাবেন নজরদারি। নিরাপত্তায় গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে কাউন্সিল।
পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সময়ে সেখানে হাজির থাকতে হবে ভেনু সুপারভাইজার, কাউন্সিলের প্রতিনিধি এবং পুলিশ কর্মীকে। প্রশ্নপত্র নিয়ে আসা এবং উত্তরপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাউন্সিলের সদস্য, ভেনু সুপারভাইজার, শিক্ষক, শিক্ষা কর্মীদের সকাল আটটার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালীন কোনও বিদ্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ এলে সেই পরীক্ষাকেন্দ্রে যে স্কুলের পড়ুয়াদের সিট পড়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টুকলির মতো অভিযোগ সামনে আসলে সেই কেন্দ্রের পরীক্ষা ও রেজাল্ট সম্পূর্ণ রূপে বাতিল করা হবে। অন্যদিকে, যদি কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে থেকে মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, তাহলে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে।
কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে বড় কোনও সমস্যা হলে, সেই দায়ভার নিতে হবে ভেনু সুপারভাইজারকে। অর্থাৎ ভেন্যু সুপারভাইজারদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে ভেন্যু সুপারভাইজারদের প্রতি মুহূর্তের আপডেট সংসদকে দিতে হবে। তাছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে বাইরের কোনও ব্যক্তিকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে বাজানো যাবে না কোনও লাউড স্পিকার।
আরও পড়ুন, পরীক্ষা নিয়ে মুশকিল আসান, উচ্চ মাধ্যমিকের সব কাজ অনলাইনে! বড় সিদ্ধান্ত সংসদের
আরও পড়ুন, পাশের দাবিতে আন্দোলন করেও লাভ হয়নি, আত্মহত্যা উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রীর!
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য পরিবহন দফতরের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে পরীক্ষার দিনগুলিতে বেশি সংখ্যক বাস চালানোর জন্য। পাশাপাশি বেসরকারি বাস সংগঠনগুলিকেও পরীক্ষার সময় রাস্তায় বেশি বাস নামানোর আবেদন জানানো হয়েছে। তাছাড়া পুলিশ, প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাস্তায় কোনও পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়লে, তাদের যেন প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হয়।
Nayan Ghosh