‘আইআইটি-র মত প্রতিষ্ঠানে পড়া মানেই কোটি টাকার চাকরি ধরা বাঁধা কিংবা শুধুমাত্র গবেষণা বা প্রযুক্তিতেই এগান যায়, গতানুগতিক এই ভাবনাকেই বদলাতে চাইছে খড়গপুর আইআইটি। এই লক্ষ্যে পড়ুয়াদের যেমন ভাবিয়ে তোলার চেষ্টা হবে তেমনই বিভিন্ন প্রাচীন ও বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে সমঝোতা করছে আইআইটি খড়গপুর। আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর সুমন চক্রবর্তীর দাবি, “আইআইটি-তে পড়ার সুযোগ পেয়েছে মানে নিশ্চিত ভাবে ভাল চাকরি মিলবে, এ কথা যেমন সত্যি। সকলের জন্য চাকরির সুযোগ তৈরিতেও দিশা দেখাবে আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়া ও গবেষকরা।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন কাজু খেলে কমবে ট্রাইগ্লিসারাইড, হার্ট থাকবে ফিট! জানাল নতুন গবেষণা
জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলিতে উন্নতমানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণাধর্মী কাজের সুযোগ রয়েছে। ভারতেও গবেষণার পাশাপাশি মানবসম্পদ এবং বিপুল চাকরির বাজার রয়েছে। রয়েছে উৎপাদন ক্ষেত্রও। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব গবেষণাকেন্দ্রের পাশাপাশি কেন্দ্রের ‘স্কিল ইন্ডিয়া মিশন’-এর অধীনে নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ।এত দিন পর্যন্ত আইআইটি খড়গপুরের বহু পড়ুয়াই জার্মানির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেছেন। ‘স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ’-এর মাধ্যমে জার্মানি থেকেও বহু পড়ুয়া আইআইটি খড়গপুরের নানা গবেষণাধর্মী কাজে যোগ দিয়েছেন।
যৌথ ভাবে গবেষণাপত্র লেখার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের চুক্তি এই প্রথম। সুমন চক্রবর্তী বলেন, “জার্মানির সঙ্গে মিলিত ভাবে নতুন কিছু করা, সেই ভাবনা থেকেই এই আদানপ্রদান এবং মউ স্বাক্ষর।” তিনি জানান, শুধু উন্নত মানের গবেষণাপত্র লেখা, গবেষণার পেটেন্ট নেওয়ার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানকে সীমিত রাখা যাবে না। এই গবেষণার উদ্ভাবনী ভাবনাকে কীভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যায়, তা-ই মূল উদ্দেশ্য থাকবে এই মউ-এর।
আইআইটি সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, ব্যাটারি টেকনোলজি, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল মোবিলিটি, জল শক্তি এবং পরিবেশ, ডিজিটাল টেকনোলজি এবং এআই নিয়ে কাজ হবে। পাশাপাশি, ভারত সরকারের অনুমতি পেলে নিউটাউনের গড়ে তোলা হবে একটি রিসার্চ সেন্টার। যেখানে গবেষণার কাজের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কাজগুলিকে ‘স্টার্ট আপ’ সংস্থার মাধ্যমে কীভাবে বাণিজ্যিকীকরণ করা যায়, তা নিয়েও উদ্যোগী হবে দুই দেশ। স্বাভাবিকভাবে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে এই মউ সাক্ষর এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে তা নয়, গবেষণা, সার্বিক মানোন্নয়নে এবং আগামীতে বাণিজ্যিকরণের ক্ষেত্রেও এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।






