সূত্রের খবর, গাইডলাইনে বলা হয়েছে কোন জায়গায় যদি ইন্টারনেট বন্ধের প্রয়োজন হয় তাহলে পর্ষদ ব্যাখ্যা দেবে কেন ইন্টারনেট বন্ধের প্রয়োজন রয়েছে। তারপরই সংশ্লিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধের ব্যাপারে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সিদ্ধান্ত নেবে। প্রত্যেক বছরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্পর্শকাতর অঞ্চল হিসাবে এলাকা চিহ্নিত করে।
লক্ষণীয়ভাবে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় গতবারের তুলনায় প্রায় চার লক্ষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। পরীক্ষার্থী সংখ্যা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের তরফে নিরাপত্তা বিষয়ক একাধিক গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষায় ম্যাপ পয়েন্টিং গুরুত্বপূর্ণ, অবশ্যই জানুন
প্রশ্নপত্র নেওয়ার সময় থাকবে পুলিশি নিরাপত্তা।
পরীক্ষা চলাকালীন সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের।
কোনওরকম আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা হলে পুলিশ সুপারদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে।
কোনওরকম ফ্রিস্কিং পরীক্ষা কেন্দ্রে না করা হলেও ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে কোনরকম ইলেকট্রনিক গ্যাজেট না নিয়ে ঢুকতে পারে সেদিকে পুলিশ নজরদারি করবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ স্পর্শকাতর অঞ্চল তালিকা জেলাশাসকদের দেবে। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোন লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।
প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকবে একজন করে সরকারি আধিকারিক এবং তিনি নজরদারি করবেন পরীক্ষা পরিচালনার যাবতীয় বিষয়ের উপর।
আরও পড়ুন: ভৌত বিজ্ঞানে পুরো নম্বর তোলা সহজ, মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ টিপস
গাইডলাইনে আরও বলা হয়েছে, ওই সরকারি আধিকারিক হবে অফিসার স্তরের কোনও আধিকারিক। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের নেতৃত্বে প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে কমিটি তৈরি করা হয়েছে৷ এই কমিটি গোটা জেলার পরীক্ষা ব্যবস্থা শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে নাকি সেটা খতিয়ে দেখবে। প্রত্যেকটি জেলাতেই পর্ষদের কন্ট্রোল রুম থাকবে। সেই কন্ট্রোল রুমগুলিতে কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের তরফে একজন করে পুলিশের আধিকারিক থাকবেন যাতে সংযোগ স্থাপন ভাল হয়। পরিবহন দফতর কে বাসের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রাখতে হবে, যাতে ছাত্রছাত্রীদের পৌঁছাতে সুবিধা হয়।