একাংশের মতে, কার্যত উপাচার্যদের শোকজ করলেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর সিধু কানহু বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই ইমেইল মারফত কৈফিয়ার তলব করা হয়েছে রাজভবনের তরফে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল রাজভবনের তরফে। সাপ্তাহিক রিপোর্ট জমা দেওয়ার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাক্টিভিটি সম্পর্কিত রিপোর্ট ও জমা দিতে বলা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ক্লিকে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল দেখুন News18 Bangla-র ওয়েবসাইটে
শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসরদের নামের তালিকা ও দিতে বলা হয় রাজভবনের তরফে। কিন্তু মাসখানে পেরিয়ে যাবার পরেও রাজভবনের কাছে সেই রিপোর্ট বা অধ্যাপকদের নামের তালিকা জমা পড়েনি বলে সূত্রের খবর। তারপর ফের ১৯ মে রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু সেই চিঠি পাঠানোর পরেও কোন রিপোর্ট জমা না পড়ায় রাজ্যের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের কৈফিয়ৎ তলব করেছে রাজভবন বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত, পাশের হার ৮৯.২৫ শতাংশ! রেজাল্ট দেখুন News18 Bangla.com-এ এক ক্লিকে
এপ্রিল মাসে প্রথম সপ্তাহে রাজভবনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল সেখানে আর্থিক লেনদেনের বিষয় বা কোনও জটিলতা কাটাতে সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত এমন যে কোনও সিদ্ধান্ত আচার্য বা রাজ্যপালের আগাম অনুমতি নিতেও বলা হয়েছিল ওই নির্দেশিকায়।
জমা দিতে বলা হয়েছিল লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় তথ্য। উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, আচার্যের বা রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি নিয়ে আপাতত উপাচার্যদের “ধীরে চলো নীতি” নিতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আচার্য বা রাজ্যপালের পাঠানো চিঠি নিয়ে সরব হয়েছেন। রাজ্যপালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর যে বিল বিধানসভায় পাশ হয়েছিল সেই বিলে রাজ্যপাল কেন স্বাক্ষর করছেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। যদিও রাজ্যপালের কৈফিয়ৎ তলব নিয়ে অবশ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়