অভিভাবকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যারা ফি ইতিমধ্যেই জমা করেছেন, তাদের পড়ুয়াদের কেনো ক্লাস করতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার অন্যান্য দিনের মতোই দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata News) রানিকুঠির ওই স্কুলে পৌঁছয় পড়ুয়ারা। কিন্তু গেটের সামনে নোটিশ ঝুলতে দেখেন সকলে। নোটিশ পড়ে অভিযোগরা জানতে পারেন যে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য় বন্ধ রাখা হচ্ছে স্কুল।
আরও পড়ুন: রাতে ঘুমোতে পারেননি, কেমন আছেন অনুব্রত মণ্ডল? আজ কোন পথে সিবিআই?
advertisement
রাজ্যের কোনও বেসরকারি স্কুল কোনও পড়ুয়াদের উত্তীর্ণ হওয়া আটকাতে পারবে না। আটকে রাখা যাবে না মার্কশিটও। স্কুল ফি নিয়ে মামলার শুনানির পর সম্প্রতি এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, "স্কুল হচ্ছে মন্দির, সেখানে এরকম হলে কিছু বলার নেই। আদালতের পক্ষে কি সব সময় নজর রাখা সম্ভব?" তার পরই এ দিন নোটিশ ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল জিডি বিড়লা স্কুল।
কী কী নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ?
১) রাজ্যের ১৪৫ টি বেসরকারি স্কুল কোন পড়ুয়ার প্রমোশন আটকাতে পারবে না। কোন পড়ুয়ার মার্কশিট আটকানো যাবে না।
২) সমস্ত পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে যোগদান করতে দিতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: গরম থেকে রেহাই দিতে বাংলায় আসছে বৃষ্টি! কোন কোন জেলায়, জানুন Latest Update
৩) কোভিডকালে কোন পড়ুয়া কত ফি দিয়েছে, তার হিসাব আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকদের দিতে হবে।
৪) সব নথি খতিয়ে দেখে কোন পড়ুয়ার কত বকেয়া রয়েছে, তা নির্ধারণ করবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক।
৫) আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক যে বকেয়া ফিস নির্ধারণ করবেন, তা দিতে হবে অভিভাবকদের।
৬) যারা কোভিডকালে কোন ফি দেননি, তাদের নামও নথিবদ্ধ করবে আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।
৭) অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন আদালত নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিকরা।