ছেলের পড়াশোনার খরচ যোগান দিতে একাধিকবার পাড়ি দিতে হয়েছে ভিন রাজ্যে। তবে সারা বছর কৃষিকাজের উপর নির্ভর করেই পরিবারের হাল ধরছেন কৃষক শেখ আলিম। তার ছোট ছেলে শেখ ইমতিয়াজ এবছর দ্বিতীয়বারে নিট পরীক্ষায় বসে সাফল্য অর্জন করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৫৪৩। তার সর্বভারতীয় স্তরে র্যাংক হয়েছে ১৫৩৯৫।
advertisement
শেখ ইমতিয়াজ জানান, \”ছোট বেলা থেকেই দেখে আসতাম দরিদ্র হওয়ায় পরিবার এবং গ্রামের কোন ব্যক্তি অসুখে পড়লে দীর্ঘ সমস্যায় পড়তেন। সেটা দেখে তখন প্রভাবিত হতাম যে একদিন ডাক্তার হয়ে তাদের বিনামুলের চিকিৎসা করব। সেই থেকে ডাক্তার হওয়ার জন্য পড়াশোনায় মনের জোর আরও বেড়ে যায়। যার ফলস্বরূপ আজকে ডাক্তার হওয়ার জন্য ডাক্তারি পড়াশোনার সুযোগ হয়েছে। আগামীতে দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই তার লক্ষ্য।\”
বাবা কৃষক শেখ আলিম জানান, \”ছেলের পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোন রকম খামতি রাখেনি। ছেলের পড়াশোনার জন্য টাকা কম পড়লে বাড়ির কৃষি কাজ ছেড়ে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতাম। স্বপ্ন দেখেছিলাম ছেলেকে ডাক্তার করব, আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। ছেলের এমন সাফল্যের পর একজন কৃষক বাবা হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনে হচ্ছে।\”
মালদহের মানিকচক ব্লকের চৌকি মিরদাদপুর অঞ্চলের রাজনগর গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে শেখ ইমতিয়াজ। মা ডায়াবেটিস রোগী তাই বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। আর্থিক অবস্থা শোচনীয় থাকায় মায়ের চিকিৎসা করতে সমস্যা হত। তবে এবারে ছেলে নিজে চিকিৎসক হওয়ার পর চিকিৎসা করবে মায়ের। গ্রাম থেকে এই প্রথম একমাত্র ডাক্তার হতে চলেছে সে। তার এমন সাফল্যে খুশির হাওয়া ছড়িয়েছে পরিবারসহ সহ গ্রামে।
জিএম মোমিন