একদিকে যেমন গ্রামের শোকের ছায়া নেমে এসেছিল, মৃতের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। জীবন জীবিকার শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে অসহায় পরিবারের একমাত্র সন্তান বছর ১৬-এর পরীক্ষার্থী কাশ্মীর মণ্ডল। বাবার মৃত্যুর খবর শোনার পরেও সে অদম্য সাহস আর আগামী দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে অবিচল ছিল। বাবাকে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিয়ে ভাল ফল করেছে কাশ্মীর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব আজ থেকেই? ৭২ ঘণ্টা দুর্যোগের আবহ, কোন কোন জেলায় তাণ্ডব? জানুন
আরও পড়ুনঃ কলকাতায় এক বিয়ে ঘিরে তোলপাড়, মন্দিরে মালা বদল দু’জনের! পরিচয় জেনেই চমকাচ্ছে সকলে
ধান্যকুড়িয়া হাই স্কুলের এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল কাশ্মীর। বাবার মৃতদেহ বাড়িতে রেখে এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল কাশ্মীর। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩১৬। জীবন বিজ্ঞানে ৬০, ভূগোলে ৫২, ইংরেজিতে ৪৮ নম্বর পেয়েছে। ছোট থেকে বাবার ইচ্ছে ছিল কাশ্মীর বড় হয়ে একদিন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবে। সংসারে একমাত্র রোজগারে বাবার বাবাকে হারিয়ে একদিকে সংসারের টানাপোড়েন অপরদিকে বাবার স্বপ্নপূরণ।
কাশ্মীরের কথায়, বাবা কখনও হার মানেননি, সেজন্য আমিও হার মানব না, বাবার স্বপ্নকে পূরণ করব। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফল করলেও পড়াশোনর খরচ নিয়ে দিশেহারা কাশ্মীর। যেখানে সংসারে ভালমতো দু’মুঠো অন্নই জোটে না, সেখানে স্কুলে ভর্তি হওয়া, বই কেনা, পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কী ভাবে সম্ভব? যদিও স্বামীকে হারিয়ে সংসারের অভাব কষ্টকে বুকে চেপে রেখে ছেলের স্বপ্নকে পূরণ করতে মরিয়া নেপুরা বিবি। বাবাকে আর সে কোনওদিন ফিরে পাবে না। কিন্তু বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে, এটাই একমাত্র লক্ষ্য কাশ্মীরের।
জুলফিকার মোল্যা