মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় বরাবরই 'স্পর্শকাতর' হিসেবে চিহ্নিত মালদহ। এবারও টেট পরীক্ষার দুদিন আগেই মালদহের নিবেদিতা গার্লস হাইস্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ও হেডফোন লুকিয়ে রাখার চেষ্টার ঘটনা ধরা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে টেট পরীক্ষায় কোনরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না পর্ষদ ও প্রশাসন।
আরও পড়ুন: '৫ লাখ টাকা দিলেই আগের রাতে প্রশ্ন,' টেট নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
advertisement
এদিন পর্ষদ ও প্রশাসনের নির্দেশমতো সকাল ন'টাতেই পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়ে যান পরীক্ষকরা। নির্দেশ অনুযায়ী পরীক্ষকদেরও মোবাইল ফোন পরীক্ষা কেন্দ্রের স্টোর রুমে তালা বন্ধ অবস্থায় রাখার ব্যবস্থা হয়। সকাল ১০টা বাজতেই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সামনে আসেন পরীক্ষার্থীরা। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা করা হয়। কারও সঙ্গে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, রোদ চশমা, ক্যালকুলেটরের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম রয়েছে কিনা তা তল্লাশি করে দেখা হয়। বায়োমেট্রিক যন্ত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি যাচাই করা হয়। সর্বক্ষণের জন্য প্রত্যেক হলে সিসিটিভিতে নজরদারি চালু রাখা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের সময় দেখার জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার ঘরেই আলাদা করে রয়েছে দেওয়াল ঘড়ির ব্যবস্থা৷ পরীক্ষাকেন্দ্র পিছু পর্ষদের একজন করে সদস্য এবং প্রশাসনের দুইজন করে আধিকারিক নিরাপত্তার দায়িত্ব তদারকি করবেন।
এছাড়াও, প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে হোমগার্ড, সিভিকের পাশাপাশি অন্তত একজন করে এএসআই পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। পরীক্ষাকেন্দ্র গুলির বাইরে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। মোবাইল ভ্যান, সাদা পোশাকেও পুলিশের নজরদারি চলবে প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন এরজন্য জেলায় বাড়তি বাস এবং সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়।এদিকে, এত নিরাপত্তার মধ্যেও পরীক্ষা নিয়ে আশা-নিরাশায় পরীক্ষার্থীরা। বাড়তি নজরদারির ফলে পরীক্ষার্থীদের অনেকে বিভ্রান্ত হতে পারে বলে পরীক্ষার্থীদের একাংশের মত। অনেকে আবার বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থার পাশাপাশি সঠিক ও স্বচ্ছ ভাবে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবি তুলেছেন।