এদিন সকাল ১১ টা থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। নতুন রেগুলেশনের পরীক্ষা ছিল দুপুর ২ টো পর্যন্ত, এবং পুরোনো রেজুলেশনে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইউ এন ব্রহ্মচারী ঘরে এদিন পরীক্ষা ছিল। তার ঠিক পিছনেই ইনভিজিলেটদের ঘর। আরেক পাশে শৌচালয়। সোমবার দুপুরে সেই শৌচালয়ের পিছনে দিয়ে দেখা যায়, সেখানে পড়ে রয়েছে টুকলির কাগজ, বইয়ের পাতা।
advertisement
এছাড়াও রীতিমতো মাইক্রো ফটো কপি করে আনা হয়েছিল। সেগুলিই জানালার ওপর রাখা ছিল। শৌচালয়ের নীচেও পড়ে রয়েছে একাধিক কাগজ, বইয়ের পাতা, মাইক্রো ফটো কপি। পরীক্ষা হলের চত্বর জুড়ে চারদিকেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে টুকলির কাগজ।
পরীক্ষায় টোকাটুকির বিষয় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানান, "এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এখানকার পড়ুয়ারা অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছাত্রী। যে ২৫০ জন পরীক্ষা দিচ্ছে তার মধ্যে ৩০ জন হয়তো পরীক্ষা চলাকালীন শৌচালয় ব্যবহারের জন্যে বেরিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কেউ কিছু করছে কিনা সেটা পরিদর্শককে দেখতে বলা হয়েছে। কিন্তু এদিনের পরীক্ষার হলে পরিদর্শকদের নজরে কোনও টোকা টুকি নজরে আসে নি।পরিদর্শকদের পাশাপাশি ২০ টি সিসিটিভির মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, সেগুলো দেখা হবে। তবে পরীক্ষায় কোনও বেনিয়ম হয় নি।"
আরও পড়ুন, সামনেই পরীক্ষা, মাধ্যমিকের ভূগোলে নম্বর তোলার সহজ উপায় জানুন
আরও পড়ুন, পরীক্ষা নিয়ে দূর হবে পড়ুয়াদের মনে ভয়, জানুন কেন্দ্রের কর্মসূচি সম্পর্কে
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ পরীক্ষায় টোকা টুকির বিষয় অস্বীকার করলেও, পরীক্ষার হলের বাইরে ছড়িয়ে থাকা যতেচ্ছ কাগজ, বইয়ের পাতা, মাইক্রো ফটো কপি অন্য কথাই বলছে। তবে মেডিক্যাল কলেজের মত ঐতিহ্যবাহী কলেজে এই ছবি শিক্ষাবিদদের একাংশকে রীতিমত অবাক করে দিয়েছে।