১. বাচ্চারা পড়াশোনা বিশেষ করে হোম ওয়ার্ক থেকে সাধারণত দূরে থাকতে চায়। এর কারণ শিশুরা খেলাধুলো বা বর্তমানে মোবাইলে গেম খেলতেই বেশি পছন্দ করে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে যদি সন্তান মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে তবে ওই মোবাইলেই স্কুলের হোম ওয়ার্কের পাশাপাশি পড়াশোনার পাঠ্যসূচি আপলোড করে নেওয়া যায়। মোবাইল ঘাঁটার সময়ে ছোটরা তা সহজেই রপ্ত করে নিতে পারবে। এটি একটি সহজ উপায় বলেই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
আরও পড়ুন: সাতদিন ধরে নিখোঁজ পথকুকুরকে খুঁজে পেয়ে এলাকাবাসীরা যা করলেন! ভাইরাল ভিডিও দেখুন
২. স্কুলের হোম ওয়ার্কের প্রতি বিমুখতার জন্য বেশিরভাগ বাচ্চাই সঠিক সময়ে তাদের হোম ওয়ার্ক শেষ করতে পারে না। ফলে একেবারে স্কুল খোলার দোরগোড়ায় এসে তাদের স্কুলের হোম ওয়ার্ক শেষ করতে হয়। এ জন্য কালঘাম ছুটে যাওয়ার জোগাড় হয় প্রায় প্রত্যেক বাবা-মায়ের। এই সময়ে বাচ্চাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। তাদের মনের কাছে পৌঁছাতে হবে। খেলাচ্ছলে তাদের দিয়ে এই কাজ শেষ করাতে হবে, বকলে চলবে না।
আরও পড়ুন: মেদহীন চাবুক চেহারায় নজরকাড়া ৪১-এর অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি, দেখুন
৩. শিশু মনে যাতে কোনও বিরূপ প্রভাব না পড়ে, তার জন্য প্রত্যেক বাবা-মাকে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে। যেমন -সর্বদা বাড়ির পরিবেশ শান্ত রাখা অবশ্যই জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে অতিরিক্ত বকা-ঝকা কোনও শিশুই পছন্দ করে না। তাই শান্ত মনে তাদের বুঝিয়ে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী করে তুলতে হবে।
৪. বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হোম ওয়ার্ক যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা কোনও শিশুই বুঝতে চাইবে না। সব শিশুর মেধা শক্তিও প্রখর হয় না। তাই ধৈর্যের সঙ্গে শিশুদের হোম ওয়ার্কের মধ্যেই পড়াশোনায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।
এছাড়াও শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়েও প্রত্যেক বাবা-মাকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার সর্বদা খাওয়াতে হবে। পাশাপাশি বাচ্চাদের বাড়িতে পড়াশোনার একটি সময়সূচি তৈরি করে দিতে হবে, যাতে বাকি সময়টা তারা নিজেদের মতো থাকতে পারে।