দেশজুড়ে শিক্ষা উন্নয়নের একাধিক প্রকল্প চলছে, যার মধ্যে ‘সমগ্র শিক্ষা অভিযান’ ও ‘পিএম-শ্রী’ প্রকল্প দু’টি অন্যতম। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে—এই প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে কি বাংলা ক্রমশই বঞ্চিত হচ্ছে? নাকি রাজনৈতিক মতভেদ এর পেছনে বড় কারণ? সাংসদ বাপী হালদারের এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান যেভাবে রাজ্যভিত্তিক বরাদ্দের তথ্য তুলে ধরেছেন, তাতে বাংলার প্রতি একধরনের প্রশাসনিক ‘ঠান্ডা ব্যবহার’-এর ইঙ্গিত মিলছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।
advertisement
সাংসদ বাপী হালদার সম্প্রতি সংসদে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, ‘সমগ্র শিক্ষা মিশন’ ও ‘পিএম-শ্রী’ প্রকল্পে রাজ্যভিত্তিক অর্থ বরাদ্দ কত হয়েছে। তিনি স্পষ্টভাবে প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য অর্থ বরাদ্দ কেন আটকে রাখা হয়েছে এবং রাজ্যের প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার বকেয়া আদৌ কবে মেটানো হবে?
আপনার পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট আছে? তাহলে এখনই এটা করুন, নইলে অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ হয়ে যাবে!
এই প্রশ্নের জবাবে ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সমগ্র শিক্ষা অভিযান (SSA) প্রকল্পে গুজরাটকে বরাদ্দ করা হয়েছে ১২৪৫.৫৪ কোটি টাকা, উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে ৬২৬৪.৭৯ কোটি টাকা, হরিয়ানা পেয়েছে ৫৩৬.৪৪ কোটি টাকা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পশ্চিমবঙ্গের নামের পাশে রয়েছে একটি বড় ‘শূন্য’। অর্থাৎ রাজ্যটি এই প্রকল্পে কোনও বরাদ্দই পায়নি।
এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধী রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, রাজনৈতিক বিভাজনের জেরে কেন্দ্র কি ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যকে শিক্ষা খাতে বঞ্চিত করছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্র ও রাজ্যের সম্পর্ক যতদিন না স্বাভাবিক হবে, ততদিন এই ধরনের কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বাংলার প্রাপ্য অধিকার অনিশ্চিতই থেকে যাবে।বাংলার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার অগ্রগতিতে যদি এভাবেই আর্থিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে থাকে, তাহলে তার পরিণতি শুধু শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়—সামগ্রিকভাবে সমাজের ওপরও পড়বে বলেই মত শিক্ষা বিশ্লেষকদের। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল।